মুআয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন, “হে মুআয! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি। অতঃপর হে...
মু‘আয এর হাদীস ইসলামী মহব্বতের একটি নতুন দিগন্ত তুলে ধরল যার ফলাফল হলো কল্যাণের প্রতি উপদেশ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করা। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “বান্দা সিজদা অবস্থায় স্বীয় রবের সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন, বান্দা সিজদা অবস্থায় স্বীয় রবের সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়। কেননা মুসল্লী তার সর্বাধিক সম্মানিত...
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে বেশি পড়া দো‘আ হলো, হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যা...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আ সবচেয়ে বেশি পড়তেন। এটি কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মানিত আয়াত।। তিনি এ দো‘আ বেশি পরিমাণে পড়তেন; কেননা এতে দ...
আবূদ দারদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের উত্তম কাজের সন্...
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের উত্তম আমলের সন্ধান দিব না, যা সাওয়াবের দিক দিয়ে বেশি। তোমাদের প্রভুর নিকট স...
‘আয়িশাহ রদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিদিন রাতে যখন বিছানায় যেতেন, তখন তিনি তার দু হাতের তালু এক...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিল যে, তিনি যখন ঘুমানোর জন্য বিছানায় যেতেন, তখন তিনি তার দুই হাতের তালু একত্রিত করে উপরে উঠিয়ে -দু‘আকারী...

মুআয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন, “হে মুআয! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি। অতঃপর হে মুআয আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি যে, তুমি প্রত্যেক সালাতের শেষে: (অর্থ) “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার যিকির, শুকরিয়া (কৃতজ্ঞতা) এবং সুন্দর ইবাদত করতে সাহায্য কর।” দোআটি পড়া অবশ্যই ত্যাগ করবে না”।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “বান্দা সিজদা অবস্থায় স্বীয় রবের সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়। সুতরাং (সিজদায়) তোমরা অধিক দু‘আ করো।”

আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে বেশি পড়া দো‘আ হলো, হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

আবূদ দারদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের উত্তম কাজের সন্ধান দিব না, যা তোমাদের মালিকের নিকট সবচেয়ে পবিত্র, তোমাদের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধিকারী, স্বর্ণ-রূপা দান করার চেয়ে উত্তম এবং শত্রুর সম্মুখীন হয়ে গর্দান কাটা ও কাটানোর চেয়ে শ্রেয়?” সকলে বলল, ‘অবশ্যই বলে দিন।’ তিনি বললেন, “আল্লাহ তা‘আলার যিকির।”

‘আয়িশাহ রদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিদিন রাতে যখন বিছানায় যেতেন, তখন তিনি তার দু হাতের তালু একত্রিত করে সূরা ইখ্লাস {قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ}, সূরা ফালাক {قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ} ও সূরা নাস {قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ} পাঠ করে তার মধ্যে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে শুরু করে তার দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনি তিনবার এ রকম করতেন।

শাদ্দাদ বিন আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠতম দু‘আ হলো বান্দা বলবে যে, হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি যা করেছি তার মন্দ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর তোমার যে নেয়ামত রয়েছে তা আমি স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও আমি স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করো। তুমি ছাড়া আর কেউ পাপ মার্জনা করতে পারে না।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ভোর করতেন, তখন বলতেন: হে আল্লাহ! তোমারই হুকুমে আমাদের সকাল হল এবং তোমারই হুকুমে আমাদের সন্ধ্যা হয়, তোমারই হুকুমে আমরা জীবিত থাকি, তোমারই হুকুমে আমরা মৃত্যু বরণ করব এবং তোমারই দিকে আমাদের পুনর্জীবন। আর যখন তিনি সন্ধ্যায় উপনীত হতেন, তখন উক্ত দোআই বলতেন, তবে (শেষে) বলতেন, আপনার কাছেই প্রত্যাবর্তন।”

উসমান ইবনে আফ্ফান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকাল ও সন্ধ্যায় এই দুআ তিনবার করে পড়বে, দো‘আটির অর্থ: সেই আল্লাহর নামে যাঁর নামের সাথে পৃথিবীর ও আকাশের কোনো জিনিস ক্ষতি করতে পারে না এবং তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাতা।” তাকে কোনো জিনিস ক্ষতি করবে না।

আব্দুল্লাহ ইবন খুবাইব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “যখন সকাল কর ও যখন সন্ধ্যায় উপনীত হও তখন ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) এবং ‘কুল আঊযু বিরাব্বিল ফালাক’ ও ‘কুল আঊযু বিরাব্বিন্নাস’ তিনবার করে পড়। তাহলে প্রতিটি (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে।”

সামুরা ইবনু জুনদুব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহর কাছে অধিকতর প্রিয় বাক্য চারটি: سُبْحَانَ اللَّهِ (আল্লাহ নিঙ্কলুষ পবিত্র), وَالْحَمْدُ لِلَّهِ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর) وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (এক আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবূদ নেই) এবং اللَّهُ أَكْبَرُ (আল্লাহ সর্বমহান)। এগুলোর যে কোনটি দিয়ে তুমি শুরু কর, তাতে তোমার কোন ক্ষতি নেই।”

আবূ আইয়ূব রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি বলবে: (لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ) “আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তারই জন্য যাবতীয় প্রশংসা এবং তিনি সকল বস্তুর উপর সর্বশক্তিমান।” দশবার সে যেন ইসাম‘ঈল ‘আলাইহিস সালামের সন্তানদের থেকে দশজনকে আযাদ করল।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “দুটি কালেমা জিহ্বার উপর (উচ্চারণে) খুবই হালকা, মীযানের পাল্লায় অত্যন্ত ভারী, রাহমান (পরম দয়ালু আল্লাহ) এর কাছে খুবই প্রিয়। তা হলো: سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ (আমি আল্লাহ তা‘আলার জন্য প্রশংসা সহ তাঁর(সকল ত্রুটি থেকে) পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আমি ঘোষণা করছি মহান আল্লাহ(সকল দোষ থেকে) পূত-পবিত্র।”