আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ তোমাদের ঘরসমূহকে তোমরা কবর বানাবে না।(১) নিশ্চয় যে ঘর...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরগুলোকে সালাত মুক্ত করতে নিষেধ করেছেন, তাহলে তা কবরসমূহের মতো হবে যেখানে সালাত আদায় হয় না। অতপর নবী সাল্লাল্লা...
উবাই ইবনু কা‘ব রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হে আবুল মুনযির! তুমি কি জান, তোমার সাথে থাকা আল্লাহর...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উবাই ইবনু কা‘বকে আল্লাহর কিতাব তথা কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি প্রশ্নের উত্তর দি...
আবূ মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোন রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পা...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন , যে ব্যক্তি কোন রাতে সূরা বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, যাবতীয় ক্ষতি ও অপছন্দনীয় অবস্থা...
নু‘মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “দু’আই হল ইবাদত।” এরপর তিনি তিলাওয়...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, দু‘আই হলো ইবাদত। সুতরাং জরুরী হলো সকল ইবাদতই আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ হওয়া। হোক তা সাহায্য...
‘আয়িশাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বক্ষণ আল্লাহর যিকির করতেন।”
উম্মুল মু’মিমীন আয়িশাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার যিকিরের ব্যাপারে কর্ঠিন আগ্রহী ছি...

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ তোমাদের ঘরসমূহকে তোমরা কবর বানাবে না।(১) নিশ্চয় যে ঘরে সূরাহ বাক্বারাহ পাঠ করা হয় শয়তান সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।”

উবাই ইবনু কা‘ব রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হে আবুল মুনযির! তুমি কি জান, তোমার সাথে থাকা আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ? আবুল মুনযির বলেন: জবাবে আমি বললাম: এ বিষয়ে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলই সর্বাধিক অবগত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবার বললেন: “হে আবুল মুনযির! তুমি কি জান, তোমার সাথে থাকা আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ? তখন আমি বললাম: اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ [আল-বাকারা:২৫৫]। এ কথা শুনে তিনি আমার বুকের উপর হাত মেরে বললেন: হে আবুল মুনযির! তোমার ইলমকে স্বাগত।”

আবূ মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোন রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সে দুটিই তার জন্য যথেষ্ট।”

নু‘মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “দু’আই হল ইবাদত।” এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেন: {وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ} [غافر: 60]». “তোমাদের রব বলেন, তোমরা আমাকেই ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা অহংকারে আমার ইবাদত বিমুখ তারা অবশ্যই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” [সূরা গাফির, আয়াত: ৬০]

‘আয়িশাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বক্ষণ আল্লাহর যিকির করতেন।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা‘আলার নিকট দু‘আর চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো বস্তু নেই।”

‘উবাদা ইবন সামিত ও আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “যমীনের বুকে কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে কোনো কিছুর দো‘আ করলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা দান করেন কিংবা তার থেকে সমপরিমাণ ক্ষতি সরিয়ে দেন, যতক্ষণ না সে পাপের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার দো‘আ করে।” উপস্থিত লোকদের একজন বলল, তাহলে আমরা অধিক দো‘আ করব। তিনি বললেন, “আল্লাহ তার চেয়েও বেশি দিবেন।” আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত অন্য বর্ণনায় এটুকু অতিরিক্ত এসেছে যে, “অথবা আল্লাহ তার জন্য সমপরিমাণ সাওয়াব জমা করে রাখেন।”

(শাহর ইবন হাওশাব বলেন,) আমি উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে জিজ্ঞেস করলাম, হে উম্মুল মু’মিনীন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার কাছে অবস্থানকালে অধিকাংশ সময় কোন দো‘আটি পাঠ করতেন? তিনি বললেন, তাঁর অধিকাংশ সময় পাঠকৃত দো‘আ ছিল, “হে অন্তর পরিবর্তনকারী, আমার অন্তরকে আপনার দীনের ওপর স্থির রাখুন।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, “অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার দ্বীনকে শুধরে দাও, যা আমার সকল কর্মের হিফাযতকারী। আমার পার্থিব জীবনকে শুধরে দাও, যাতে আমার জীবিকা রয়েছে। আমার পরকালকে শুধরে দাও, যাতে আমার প্রত্যাবর্তন হবে। আমার জন্য হায়াতকে প্রত্যেক কল্যাণে বৃদ্ধি কর এবং মওতকে প্রত্যেক অকল্যাণ থেকে আরামদায়ক কর।”

ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকাল-বিকাল এ দু‘আ কখনই পরিত্যাগ করতেন না। বলতেন, “হে আল্লাহ! আমি সুস্থতা ও নিরাপত্তা চাই আমার দীন ও দুনিয়ায়, আর আমার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদে। হে আল্লাহ! আমার দোষ ঢেকে রাখুন এবং আমার অন্তরে প্রশান্তি প্রদান করুন। আর আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনে হতে, পিছন হতে, ডান দিক হতে, বাম দিক হতে ও উপর দিক থেকে। আর আমি আপনার মহত্বের অসীলায় নিচের দিকে যমীনের মধ্যে ধ্বসে যাওয়া থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।”

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে এই দো‘আ শিখিয়েছেন “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ইহকাল ও পরকালের আমার জানা-অজানা যাবতীয় কল্যাণ প্রার্থনা করি। “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ইহকাল ও পরকালের আমার জানা-অজানা যাবতীয় অনিষ্ঠতা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! তোমার বান্দা ও তোমার নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার নিকট যেসব কল্যাণ প্রার্থনা করেছেন আমিও তোমার নিকট সেইসব কল্যাণ প্রার্থনা করি। আর যে সব ক্ষতি থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেছে আমিও তোমার নিকট সে সব ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জান্নাত প্রার্থনা করি এবং যেসব কথা ও কাজ জান্নাতের নিকটবর্তী করে তার তৌফিক চাই। আর আমি তোমার নিকট জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং যে কথা ও কাজ দোযখের নিকটবর্তী করে দেয় তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে চাই যে, প্রতিটি ফায়সালা যা তুমি ফায়সালা কর, সে ফায়সালা যেন আমার জন্য কল্যাণকর হয়।

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল ‘আ্স রদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে ঈমান পুরাতন হতে থাকে, যেভাবে কাপড় পুরাতন হতে থাকে, সুতরাং আল্লাহর কাছে তোমরা দু‘আ করতে থাক, যেন তিনি তোমাদের অন্তরে ঈমানকে নবায়ন করে দেন।”