আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এক পুরুষ আরেক পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না এবং এক নারীও...
এক নারী আরেক নারীর সতরের দিকে তাকাবে না। এখানে দৃষ্টিপাতকারী নারীকে আরেক নারীর সতরের দিকে দৃষ্টিপাত করতে নিষেধ করা হয়েছে। যদি বিশেষ প্রয়োজনে কোনো নারী...
আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশ্লীল ছিলেন না এবং অশালীনতা কে প্রশ্রয...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনোই অশ্লীলভাষী বা অশ্লীল কর্ম সম্পাদনকারী ছিলেন না। তিনি কখনোই অশালীন কাজ করা ও কথা বলার ইচ্ছাও করতেন না। তিনি...
‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “নিশ্চয়ই মুমিন ব্যক্তি ত...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই উত্তম চরিত্র ব্যক্তিকে নিয়মিত দিনে সাওম পালনকারী ও রাতের তাহাজ্জুদ সালাত আদায়কারীর...
আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মুমিনদের মাঝে ঈমানে সেই পরিপূর্ণ, তাদের মাঝ...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, মুমিনদের মাঝে ঈমানে সেই পরিপূর্ণ, যে তার চরিত্রকে সুন্দর করেছে। আর সুন্দর চরিত্র হলো হা...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোন আমল দ্বারা মানুষ বেশি জান...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন, যেসব কারণে মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে তন্মধ্যে সর্বাধিক বড় দুটি কারণ হলো: আল্লাহর তাকওয়...

আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এক পুরুষ আরেক পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না এবং এক নারীও আরেক নারীর সতরের দিকে তাকাবে না। এক কাপড়ে কোনো পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে শোবে না এবং কোনো নারীও অন্য নারীর সাথে এক কাপড়ে শোবে না।”

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশ্লীল ছিলেন না এবং অশালীনতা কে প্রশ্রয়ও দিতেন না। তিনি বলতেন: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে নৈতিকতায় সর্বোত্তম।”

‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “নিশ্চয়ই মুমিন ব্যক্তি তার উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে (দিনের) সাওম পালনকারী ও (রাতের) তাহাজ্জুদ সালাত আদায়কারীর সমান মর্যাদা লাভ করতে পারে।”

আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মুমিনদের মাঝে ঈমানে সেই পরিপূর্ণ, তাদের মাঝে যার চরিত্র সুন্দরতম। তোমাদের মধ্যে উত্তম হলো যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোন আমল দ্বারা মানুষ বেশি জান্নাতে প্রবেশ করবে? তিনি বললেন: “আল্লাহর তাকওয়া ও উত্তম চরিত্রের কারণে।” জিজ্ঞাসা করা হল, কোন কাজের কারণে মানুষ বেশি জাহান্নামে যাবে? তিনি বললেন: “মুখ ও লজ্জাস্থানের কারণে।”

আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সকল মানুষের মধ্যে উত্তম চরিত্রের অধিকারী।”

সা‘দ বিন হিশাম বিন ‘আমির রহ. যখন (মদীনায়) ‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কাছে প্রবেশ করলেন, তখন তিনি বললেন: হে উম্মুল মুমিনীন! আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের চারিত্রিক গুণাবলী সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন: তুমি কি কুরআন পাঠ কর না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন: “আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চরিত্র আল-কুরআনই।”

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত কাজে (যেমন) ওযূ করা, মাথা আঁচড়ানো ও জুতা পরা (প্রভৃতি ভাল) কাজে ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন।”

শাদ্দাদ ইবনু আওস রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আমি দুটি কথা স্মরণ রেখেছি, তিনি বলেছেন: “আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক বিষয়ে তোমাদের উপর ইহসান (সুন্দর রূপে আচরণ করা) অত্যাবশ্যক করেছেন। সুতরাং তোমরা যখন হত্যা করবে, তখন উত্তম পন্থায় হত্যা করবে। আর যখন জবাই করবে তখন উত্তম পন্থায় জবাই করবে। তোমাদের প্রত্যেকে যেন তার ছুরি ধার করে নেয় এবং তার যবেহকৃত জন্তুকে যেন আরাম দেয়।”

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহর নিকট যারা ন্যায়পরায়ণ তারা মহান রহমানের ডান পার্শ্বে নূরের মিম্বরের উপর অবস্থান করবে। আর তাঁর উভয় হস্তই ডান। (ঐ ন্যায়পরায়ণগণ ) যারা তাদের বিচারে, পরিবারে এবং তার কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিবর্গের ব্যাপারে ন্যায়নিষ্ঠ।”

আবূ সা‘ঈদ খুদরী রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “কেউ অপরের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং কেউ অপরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।১ কেউ কাউকে ক্ষতি করলে, আল্লাহ তার ক্ষতি করেন। আর কেউ কাউকে কষ্টে ফেললে, আল্লাহ তাকেও কষ্টে পতিত করেন।

আবূ মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক মারফু হিসেবে বর্ণিত, “সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হল, কস্তুরী বহনকারী (আতরওয়ালা) ও হাপরে ফু দানকারী (কামারের) ন্যায়। কস্তুরী বহনকারী (আতরওয়ালা) হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে অথবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে অথবা তার কাছ থেকে সুবাস লাভ করবে। আর হাপরে ফু দানকারী (কামার) হয়ত তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে।”