জারীর ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, মহান আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না। সুতরাং সৃষ্টির প্...
আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “রহমান-আল্লাহ দয়াশীলদের প্রতি দয়া করেন। তোমরা যমীনব...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন , যারা অপরকে দয়া করেন রহমান সব কিছু বেষ্টনকারী তাঁর স্বীয় রহমত দ্বারা তাদের ওপর দয়া করেন, মূলত প্রতিদান...
‘আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রকৃত মুসলিম সে, যার মুখ ও হাত থেকে সকল মুসলিম নির...
প্রকৃত মুসলিম সে, যার মুখ থেকে সকল মুসলিম নিরাপদ থাকে। সে তাদেরেকে গালি দেয় না, অভিশাপ প্রদান করে না, কারো গীবত করে না, তাদের মধ্যে কোনো প্রকার অপকর্ম...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “এক মুসলিমের প্রতি...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে একজন মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের কতিপয় অধিকার বর্ণনা করেছেন। প্রথম অধিকার: কেউ সালাম দিলে সালামের জবাব দে...
আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, মুমিন ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর মুমিনগণ একে অপরকে ভালো না বাসলে ঈমান পরিপূর্ণ...

জারীর ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, মহান আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না।”

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “রহমান-আল্লাহ দয়াশীলদের প্রতি দয়া করেন। তোমরা যমীনবাসীদের প্রতি দয়া কর, যিনি আসমানের উপরে তিনি(আল্লাহ) তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।”

‘আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রকৃত মুসলিম সে, যার মুখ ও হাত থেকে সকল মুসলিম নিরাপদ থাকে। আর প্রকৃত মুহাজির সে, যে আল্লাহ যার থেকে নিষেধ করেছেন, তা ত্যাগ করে।” আর আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! সর্বোত্তম মুসলিম কে?’ তিনি বললেন, “যার মুখ ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি: ১. সালামের জবাব দেয়া, ২. অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেয়া, ৩. জানাযায় গিয়ে শরীক হওয়া, ৪. দা’ওয়াত কবুল করা এবং ৫. হাঁচিদাতার জবাব দেয়া।”১

আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا، وَلَا تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا، أَوَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ؟ أَفْشُوا السَّلَامَ بَيْنَكُمْ “তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর তোমাদের ঈমান পরিপূর্ণ হবে না যতক্ষণ না তোমরা একে অপরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন কোন জিনিস বলে দিব না, যার মাধ্যমে তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে? (তা হলো) তোমরা পরস্পরের মাঝে সালামের ব্যাপক প্রসার করো।”

আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবন ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করল, ‘ইসলামের কোন কাজটি উত্তম?’ তিনি জবাব দিলেন, “খানা খাওয়াবে এবং পরিচিত ও অপরিচিত সবাইকে সালাম দিবে।”

আবূ হুরায়রা রাবী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা সমবেত সহচরদের উদ্দেশ্যে) বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলব না, যার দ্বারা আল্লাহ গোনাহসমূহকে মোচন করবেন এবং (জান্নাতে) তার দ্বারা মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন?” তাঁরা বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, “(তা হচ্ছে) কষ্টকর অবস্থায় পরিপূর্ণরূপে ওযূ করা, অধিক মাত্রায় মসজিদে গমন করা এবং এক অক্তের সালাত আদায় ক’রে পরবর্তী অক্তের সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। আর এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ। এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত: আল্লাহর নিকট শক্তিশালী মু’মিন দুর্বল মু’মিন অপেক্ষা অধিক উত্তম ও প্রিয়। তাদের সবার মধ্যে রয়েছে কল্যাণ। যা তোমার উপকারে আসে তার প্রতি লোভ কর এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা কর। তবে তুমি অক্ষম হবে না। যদি তোমাকে কোন কিছু পেয়ে বসে, তখন তুমি এ কথা বলো যে, যদি আমি এ কাজ করতাম তাহলে বিষয়টি এমন এমন হতো। বরং তুমি বলো, আল্লাহর নিধারণ। তিনি যা চান করেন। কারণ যদি শয়তানের কর্মকে উম্মক্ত করে।

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “তোমরা সব ব্যাপারে নিকটবর্তী ও মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো। জেনে রাখো, তোমাদের কেউ আমলের দ্বারা নাজাত লাভ করতে পারবে না। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনিও না? তিনি বলেন, আমিও না, তবে আল্লাহ যদি স্বীয় রহমত ও অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে আবৃত করে নিয়েছেন।”

ইবনু ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আমাকে জিবরীল ‘আলাইহিস সালাম সর্বদা প্রতিবেশীর ব্যাপারে অসীয়ত করতে থাকেন। এমনকি, আমার ধারণা হয়, শীঘ্রই তিনি প্রতিবেশীকে ওয়ারিস করে দিবেন।”

আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্মানের উপর আঘাতকে প্রতিহত করে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামত দিবসে তার চেহারা থেকে জাহান্নামের আগুন কে প্রতিহত করবেন।”

আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।”