হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন, যে মানুষের মাঝে ফিতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এক জনের কথা অন্যের কাছে পৌঁছে চোগলখোরী ক...
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ সনদে বর্ণিত “আমার সকল উম্মত ক্ষমা পাবে, তবে পাপ-প্রকাশকারী ব্যতীত। আর এক প্রকার প্রকাশ এই যে, কোনো ব্যক্তি...
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মুসলিম ভাইকে নিরাপদে রাখেন, তবে যে নিজেকে অপমানিত করে সে ব্যতীত। যখন কোনো ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে কোনো অপরাধ করে, আর আল্লাহ তা গ...
ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং বলেনঃ “হে জন...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন ভাষণ দানকালে বলেন, হে লোকসকল, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের থেকে জাহিলি যুগের অহঙ্কার, বড়ত্ব ও বাপ...
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহর নিকট অতিশয় ঘৃণিত মানুষ হচ্ছে অতিরিক্ত ঝগড়াটে ব্যক্তি।”
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ তাবারাকা ওয়াতা‘আলার কাছে অতিরিক্ত ঝগড়াটে মানুষ অপছন্দনীয়, যে ব্যক্তি হকের আনুগত্...
আবূ বাকরাহ রদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “যখন দু’জন মুসলিম তল...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন,“যখন দু’জন মুসলিম তলোয়ার নিয়ে উভয় উভয়কে হত্যার উদ্দেশ্যে পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন হত্যাকারী তার...
হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ সনদে বর্ণিত “আমার সকল উম্মত ক্ষমা পাবে, তবে পাপ-প্রকাশকারী ব্যতীত। আর এক প্রকার প্রকাশ এই যে, কোনো ব্যক্তি রাতে কোনো পাপকাজ করে, যা আল্লাহ গোপন রাখেন। কিন্তু সকাল বেলা সে বলে বেড়ায়, ‘হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি।’ অথচ সে এমন অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করেছিল যে, আল্লাহ তার পাপ গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু সে সকালে উঠে তার উপর আল্লাহর আবৃত পর্দা খুলে ফেলে!”
ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং বলেনঃ “হে জনমণ্ডলী! তোমাদের হতে আল্লাহ তা’আলা জাহিলিয়াত যুগের দম্ভ ও অহংকার এবং পূর্বপুরুষের অহংকার বাতিল করেছেন। এখন মানুষ দুই অংশে বিভক্তঃ এক দল মানুষ নেককার, পরহেজগার, আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রিয় ও সম্মানিত এবং অন্য দল পাপিষ্ঠ, দুর্ভাগা, আল্লাহ তা’আলার নিকট অত্যন্ত নিকৃষ্ট, নিচু ও ঘৃণিত।
সকল মানুষই আদম সন্তান। আল্লাহ তা’আলা আদম-কে মাটি দিয়ে তৈরী করেছেন। মহান আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “হে লোক সকল! তোমাদেরকে আমি একজন পুরুষ ও একজন নারী হতে তৈরী করেছি, তারপর বিভিন্ন বংশ ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, তোমরা যাতে একে অন্যকে চিনতে পার। যে লোক বেশি পরহেজগার সেই আল্লাহ তা’আলার নিকট বেশী মর্যাদার অধিকারী। আল্লাহ তা’আলা সবকিছু সম্পর্কে জ্ঞাত, সব খবর রাখেন। [হুজুরাত ১৩]”।
আবূ বাকরাহ রদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “যখন দু’জন মুসলিম তলোয়ার নিয়ে পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তির অবস্থান হবে জাহান্নাম।” আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! হত্যাকারীর ব্যাপারটা তো বুঝা গেল; কিন্তু নিহত ব্যক্তির কি অপরাধ? তিনি বললেন: “সেও তার সঙ্গী (প্রতিপক্ষ)-কে হত্যা করতে আগ্রহী ছিল।”
আবূ আইয়ূব আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোন ব্যক্তির জন্য হালাল নয় যে সে তার ভাই এর সাথে তিন দিনের বেশি এমনভাবে সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে যে, দু’জনে সাক্ষাৎ হলেও একজন এদিকে আর অপর জন সে দিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাদের মধ্যে যে সর্বপ্রথম সালামের সূচনা করবে, সেই উত্তম ব্যক্তি।”
সাহল ইবনু সা’দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হবো।”
আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তিনি বলেন, চারটি বিষয় যা আমি আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছি এ বিষয়গুলো আমাকে আশ্চর্যান্বিত করেছে। তিনি বলেন, তা হল: এক—স্বামী কিংবা মাহরাম ব্যতীত কোন মহিলা দু’দিনের পথ সফর করবে না। দুই—‘ঈদুল ফিতর এবং ‘ঈদুল আযহা- এ দুই দিন কেউ সাওম পালন করবে না। তিন—‘আসরের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্য উদয় পর্যন্ত কেউ কোন সালাত আদায় করবে না। চার—আর মাসজিদে হারাম (কা‘বা), আমার মাসজিদ (মাসজিদে নাববী) এবং মাসজিদে আকসা (বাইতুল মাকদিস)- এ তিন মাসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মাসজিদের জন্য সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে না।
উসামা ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “আমি আমার মৃত্যুর পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাইনি।”
আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সমর্থ রাখে সে যেন অবশ্যই বিয়ে করে। কারণ, এটা চোখকে অধিক সংযত করে ও লজ্জাস্থানকে সবচেয়ে বেশি হিফাযত করে, আর যে সমর্থ রাখে না সে সিয়ামকে আবশ্যক করে নিবে। কারণ, সিয়াম তার যৌন চাহিদাকে দমনকারী।”