আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন: আপনি আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন: “তুমি র...
এক সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপকারী কোন একটি নসিহত করতে আবেদন করলে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে রাগান্বিত না হতে আদেশ...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “প্রকৃত বীর সে নয়, যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়; বরং স...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেনযে, প্রকৃত শক্তি শারীরিক শক্তি নয় অথবা শক্তিশালী কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়া নয়; বরং সেই প্রক...
আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি তার ভাইকে লজ্জার ব্যাপারে উপদেশ দিচ্ছিলেন শুনতে পেয়ে নবী সাল্লাল্লাহু ‘...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুনলেন, এক লোক তার ভাইকে বেশি লজ্জা পরিহার করতে উপদেশ দিচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। লজ্জাশীলতা শুধু...
মিকদাম ইবনু মা’দীকারাব রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন কোন ব্যক্তি তার কোন ভাইকে ভালোবাসে, তখন সে যেন...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদীসে মুমিনদের মাঝে সম্পর্ক মজবুত করা ও তাদের মধ্যে পরস্পর ভালোবাসা বৃদ্ধির একটি উপায় বর্ণনা করেছেন। আর তা হলো...
জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছে: “প্রত্যেক সৎ কাজই সাদাকা।”
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন, প্রত্যেক সৎ কাজ এবং কথা কাজ ইত্যাদির মাধ্যমে অন্যের উপকার সাধন সাদাকা এবং এতে প্রতিদান ও সাওয়াব রয়ে...
আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন: আপনি আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন: “তুমি রাগ করো না।" লোকটি কয়েকবার তা বলতে থাকলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক বারেই বললেন: “রাগ করো না।”
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “প্রকৃত বীর সে নয়, যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়; বরং সেই প্রকৃত বাহাদুর, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম “
আব্দুল্লাহ ইবনু ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি তার ভাইকে লজ্জার ব্যাপারে উপদেশ দিচ্ছিলেন শুনতে পেয়ে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “লজ্জা ঈমানের অঙ্গ।”
মিকদাম ইবনু মা’দীকারাব রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন কোন ব্যক্তি তার কোন ভাইকে ভালোবাসে, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালোবাসে।”
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “প্রতিদিন যাতে সূর্য উদয় হয় (অর্থাৎ প্রত্যেক দিন) মানুষের প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় একটি করে সাদকাহ রয়েছে। (আর সাদকাহ শুধু মাল খরচ করাকেই বলে না; বরং) দু’জন মানুষের মধ্যে তোমার মীমাংশা করে দেওয়াটাও সাদকাহ, কোনো মানুষকে নিজ সাওয়ারীর উপর বসানো অথবা তার উপর তার সামান উঠিয়ে নিয়ে সাহায্য করাও সাদকাহ, ভালো কথা বলা সাদকাহ, সালাতের জন্য কৃত প্রত্যেক পদক্ষেপ সাদকাহ এবং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূরীভূত করাও সাদকাহ।”
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের কোনো পার্থিব দুর্ভোগ দূরীভূত করবে, আল্লাহ তার থেকে কিয়ামতের দিনের দুর্ভোগসমূহের মধ্যে কোনো একটি দুর্ভোগ দূর করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো ঋণ পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তির প্রতি সহজ করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার প্রতি সহজ করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আর যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা তার মুসলিম ভাইয়ের সহযোগিতা করতে থাকে, আল্লাহও সে বান্দার সাহায্য করতে থাকেন। যে ব্যক্তি এমন পথে চলে- যাতে সে (দীনী) বিদ্যা অর্জন করে, তার জন্য আল্লাহ জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। আর যখনই কোনো সম্প্রদায় আল্লাহর কোনো এক ঘরে একত্রিত হয়ে আল্লাহর কিতাব পাঠ করে ও নিজেদের মধ্যে তা অধ্যয়ন করে, তখনই (আল্লাহর পক্ষ থেকে) তাদের ওপর প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়, তাদেরকে (আল্লাহর) রহমত আচ্ছাদিত করে নেয়, ফিরিশতারা তাদেরকে ঘিরে নেয় এবং আল্লাহ তাঁর নিকটবর্তী (ফিরিশতা)দের মধ্যে তাদের কথা আলোচনা করেন। আর যাকে তার আমল পশ্চাদ্গামী করেছে (অর্থাৎ নেকীর কাজ করে নি) তার বংশ তাকে অগ্রগামী করতে পারবে না।”
আবূ বারযাহ নাযলাহ ইবনে উবাইদ আসলামী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কিয়ামতের দিন বান্দার পা দু’খানি সরবে না। (অর্থাৎ আল্লাহর দরবার থেকে যাওয়ার তাকে অনুমতি দেওয়া হবে না।) যতক্ষণ না তাকে প্রশ্ন করা হবে; তার আয়ু সম্পর্কে, সে তা কিসে [য় করেছে? তার ইল্ম (বিদ্যা) সম্পর্কে, সে তাতে কী আমল করেছে? তার মাল সম্পর্কে, কী উপায়ে তা উপার্জন করেছে এবং তা কোন্ পথে ব্যয় করেছে? আর তার দেহ সম্পর্কে, কোন কাজে সে তা [য় করেছে?”
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “বিধবা ও মিসকীন-এর জন্য (খাদ্য জোগাড়) চেষ্টারত ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তার মুজাহিদের মতো অথবা রাতে সালাত আদায়কারী ও দিনে সিয়াম পালকারীর মতো।”
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে, অথবা সে যেন চুপ থাকে। যে আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে সম্মান করে । যে লোক আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।”
আবূ যার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন: “সাধারণ কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ করে দেখো না। তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাতের মতো (দেখতে সাধারণ কোনো) বিষয়ই হোক না কেনো।”
আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা অবশ্যই সত্য অবলম্বন করবে; কেননা সত্য সৎকর্মের দিকে পরিচালিত করে আর সৎকর্ম পরিচালিত করে জান্নাতের দিকে। কোনো ব্যক্তি যদি সত্য বলতে থাকে এবং সত্যের প্রতি সদা মনযোগ রাখতে থাকে শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহর কাছেও সিদ্দীক তথা অতি সত্যবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। আর তোমরা মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকবে; কেননা মিথ্যা অন্যায়ের দিকে নিয়ে যায়, আর অন্যায় নিয়ে যায় জাহান্নামের দিকে। কোনো বান্দা যখন মিথ্যা বলতে থাকে এবং মিথ্যার প্রতিই তার খেয়াল থাকে এমনকি শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছেও সে কায্যাব তথা অতি মিথ্যাবাদী বলে লিপিবদ্ধ হয়।”