আবূ সা‘ঈদ আল-খুদুরী ও আবূ হুরায়রা রদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে সকল কষ্ট, রোগ-ব...
এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন, মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, দুশ্চিন্তা, বিপদাপদ, বালা-মুসিব...
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মু’মিন পুরুষ ও নারীর জান, সন্তান-সন্ততি ও...
মানুষ এ আমলে দুনিয়ায় অবশ্যই ক্ষতি বা আনন্দ উভয় দ্বারাই পরীক্ষার সম্মূখীন হয়। যখনই মানুষ দুনিয়াতে কোন জীবন অথবা সন্তান বা সম্পদ বিষয়ে আক্রান্ত হয়, তারপ...
আবূ ইয়াহয়া সুহাইব ইবনে সিনান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজই তার জন্য ভালো। এটা মু’মিন ব্...
মু’মিনের অবস্থানকে ভালো জেনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিস্ময় প্রকাশ করেন। কারণ, দুনিয়াতে মু’মিনের যাবতীয় উঠবস-পরিবর্তন ও সার্বিক অবস...
আবূ মূসা আল-আশ‘আরী রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “যখন বান্দা অসুস্থ হয় কিংবা সফরে থাকে...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ ও রহমত সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। একজন মুসলিমের সাধারণ নিয়ম হলো সে সুস্থ ও মুকীম অবস...
মু‘আবিয়াহ রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “আল্লাহ তা‘আলা যার দ্ব...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সংবাদ দিয়েছেন, আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে তাঁর দীনের বুঝ দান করেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যে রিযিক, ইলে...

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদুরী ও আবূ হুরায়রা রদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে সকল কষ্ট, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, দুশ্চিন্তা, অনিষ্ট ও পেরেশানী আপতিত হয়, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে বিদ্ধ হয়, এ সবের দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহসমূহ থেকে ক্ষমা করেন।

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মু’মিন পুরুষ ও নারীর জান, সন্তান-সন্ততি ও তার ধনে (বিপদ-আপদ দ্বারা) পরীক্ষা হতে থাকে, পরিশেষে সে আল্লাহ তা‘আলার সঙ্গে নিষ্পাপ হয়ে সাক্ষাৎ করবে।”

আবূ ইয়াহয়া সুহাইব ইবনে সিনান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজই তার জন্য ভালো। এটা মু’মিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য নয়। যদি তাকে কল্যাণ স্পর্শ করে সে আল্লাহর শোকর আদায় করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর যদি তাকে ক্ষতি স্পর্শ করে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়”।

আবূ মূসা আল-আশ‘আরী রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “যখন বান্দা অসুস্থ হয় কিংবা সফরে থাকে, তখন তার জন্য তা-ই লেখা হয়, যা সে স্বগৃহে অবস্থানকালে সুস্থ অবস্থায় আমল করত।”

মু‘আবিয়াহ রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “আল্লাহ তা‘আলা যার দ্বারা কল্যাণ চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন। আল্লাহই দানকারী, আর আমি বণ্টনকারী। এ উম্মত আল্লাহর আদেশ (কিয়ামাত) আসা পর্যন্ত সর্বদা আল্লাহর হুকুমের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, বিরুদ্ধবাদীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

জাবির ইবনু আব্দিল্লাহ রদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা আলিমদের সাথে বড়াই করার জন্য ইলম শিখবে না, নির্বোধের সাথে বিতর্ক করার জন্যও নয়, আর তা দ্বারা মজলিসে উত্তম স্থান দখল করো না, যে এসব কারণে তা শিখবে, তার জন্য রয়েছে: আগুন, আগুন।”

‘উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিখায়।”

আবু আব্দুর রহমান আস-সুলামী রহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহবীদের মধ্য হতে আমাদেরকে কুরআন পড়াতেন, এমন একজন আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দশটি করে আয়াত পাঠ করতেন, তারপরে তারা পরবর্তী দশটি আয়াত আর গ্রহণ করতেন না, যতক্ষণ না এ আয়াতগুলোর মধ্যে থাকা ইলম ও আমল সম্পর্কে তারা জানতে পারতেন। তারা বলতেন: এভাবেই আমরা ইলম ও আমল (একত্রে) শিক্ষা করতাম।

আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি হরফ পাঠ করবে তার জন্য এর এর কারণে একটি সাওয়াব আছে। আর সাওয়াবটি তার দশ গুণ বৃদ্ধি পায়। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ।”

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কুরআনের ধারককে বলা হবে: তুমি পাঠ কর এবং উপরে উঠতে থাক। তারতীল সহকারে সুন্দর করে পাঠ করবে যেভাবে তুমি দুনিয়াতে তারতীল সহকারে সুন্দর করে পাঠ করতে। নিশ্চয় তোমার সর্বশেষ পাঠকৃত আয়াতের স্থানেই তোমার আবাসস্থল।”

আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ কি এটা পছন্দ করবে যে, সে যখন তার পরিবারের কাছে ফিরে যাবে, তখন সেখানে সে তিনটি বড় হৃষ্টপুষ্ট গর্ভবতী উটনী দেখতে পাবে?” আমরা বললাম: হ্যাঁ। তিনি বললেন: “তোমাদের কেউ সালাতের মধ্যে তিনটি আয়াত পাঠ করা তার জন্য বড় তিনটি গর্ভবতী উটনী থেকেও বেশী উত্তম।”

আবূ মূসা আল-‘আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা কুরআন মুখস্থ রাখার ব্যাপারে অধিক যত্নবান হও । যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আমি সে মহান সত্তার শপথ করে বলছি, কুরআনের মুখস্থ সূরাহ বা আয়াতসমূহ মানুষের মন থেকে বাঁধা উটের চেয়েও অধিক পলায়নপর।”