আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা‘আলা তোমাদ...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, নিশ্চয়ই দুনিয়ার স্বাদ হচ্ছে সুমিষ্ট এবং দেখতে সবুজ-শ্যামল। ফলে মানুষ এর ধোঁকায় পড়ে যায়, এটি নিয়...
আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একবার ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহের...
আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় ঈদগাহে বের হতেন। তিনি নারী ও পুরুষদে...
উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “তোমরা স্ত্রীলোকদের কাছে প্রবেশ করা থেকে দূরে থাক। এক আনসারী ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহ...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরনারীদের কাছে যাওয়া এবং তাদের সাথে নির্জনে অবস্থান করা থেকে সতর্ক করেছেন। কেননা একজন পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে...
আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: অভিভাবক ছাড়া কোনো বিয়ে নেই।
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই মেয়ের বিয়ে তার অভিভাবক দেয়া ছাড়া শুদ্ধ হয় না।
‘উকবা ইবনু ‘আমির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “শর্তাবলীর মধ্যে যা পূরণ করার অধিক দাব...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন, শর্তাবলীর মধ্যে যা পূরণ করার অধিক দাবী রাখে তা হল সেই শর্ত যার কারণে কোন ব্যক্তি তার স্ত্র...

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন। অত:পর তিনি দেখবেন তোমরা কিভাবে আমল করো? সুতরাং তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে। কারণ বনী ইসরাইলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীদের মাধ্যমে।”

আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একবার ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, হে মহিলা সমাজ! তোমরা সাদকাহ করতে থাক। কারণ, আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তারা জিজ্ঞেস করলেন, কী কারণে, হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাক, আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চেয়ে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখি নি। তারা বললেন, আমাদের দীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, হে আল্লাহ্র রাসূল? তিনি বললেন, একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? তারা উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন তিনি বললেন, এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ত্রুটি। আর হায়েয অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকে না? তারা বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, “এ হচ্ছে তাদের দীনের ত্রুটি।”

উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “তোমরা স্ত্রীলোকদের কাছে প্রবেশ করা থেকে দূরে থাক। এক আনসারী ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! দেবর সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, দেবর তো মৃত্যু সমতুল্য।” সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় আবূ তাহির থেকে, তিনি ইবন ওহাব রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি লাইস ইবন সা‘দ রাহিমাহুল্লাহকে বর্ণনা করতে শুনেছি, ‘দেবর বলতে স্বামীর ভাই এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন যেমন, চাচাতো ভাই ইত্যাদি বুঝায়।

আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: অভিভাবক ছাড়া কোনো বিয়ে নেই।

‘উকবা ইবনু ‘আমির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “শর্তাবলীর মধ্যে যা পূরণ করার অধিক দাবী রাখে তা হল সেই শর্ত যার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের হালাল করেছ।”

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “দুনিয়া ভোগ্যপণ্য এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরণ হল পুণ্যবতী নারী।”

জারীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (অপরিচিত নারীর প্রতি) হটাৎ দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন, “তুমি তোমার দৃষ্টিকে ফিরিয়ে নাও।”

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’শিং বিশিষ্ট সাদা-কালো চিত্রা রং এর দুটি দুম্বা নিজ হাতে যবেহ করেন। তিনি ‘বিসমিল্লাহ’ পড়েন, আল্লাহু আকবর বলেন, এবং (যবাহকালে) তাঁর একখানা পা দুম্বার দুটির গর্দানের ওপর রাখেন।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘লুঙ্গির যে পরিমাণটুকু পায়ের গাঁটের নীচে যাবে, সে পরিমাণ জাহান্নামে যাবে।’ আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মুসলিমের লুঙ্গি অর্ধ গোছা পর্যন্ত ঝুলানো উচিত। গাঁটের উপর পর্যন্ত ঝুললে [তি নেই। যে অংশ লুঙ্গি পায়ের গাঁটের নীচে ঝুলবে, তা জাহান্নামে নি[িপ্ত হবে। আর অহংকারবশতঃ যে ব্যক্তি পায়ের গাঁটের নীচে ঝুলিয়ে লুঙ্গি পরবে, তার দিকে আল্লাহ (করুণার দৃষ্টিতে) তাকিয়ে দেখবেন না।”

আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলা হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, তারা একদা হুযাইফা (রদিয়াল্লাহু আনহু)-এর কাছে ছিলেন, তখন হুযাইফা পানি চাইলে একজন অগ্নিপূজক তাকে পানি দিল, যখন সে তার পাত্রটি হুযাইফার হাতে দিলেন, তখন তিনি তা ছুড়ে ফেলে দিলেন, আর বললেন: যদি আমি তাকে একবার বা দুইবারেরও বেশী এ ব্যাপারে নিষেধ না করতাম, -যেমন তিনি বলছিলেন-: তাহলে আমি একাজ করতাম না। কিন্তু আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “তোমরা হালকা ও মোটা রেশমী কাপড় পরিধান করবে না, আর তোমরা সোনা বা রোপার পাত্রে পানও করবে না, এটা দ্বারা নির্মিত থালা-বাসনে কিছু খাবেও না; কেননা এটা দুনিয়াতে তাদের জন্য আর আমাদের জন্য এটি থাকবে আখিরাতে।”

ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’কাযা’ আংশিক চুল কর্তন করা থেকে নিষেধ করেছেন।(১)

ইবনু ’উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, “তোমরা গোফ কেটে ফেল (অর্থাৎ ঠোটের ওপর থেকে কেটে দাও) এবং দাড়ি ছেড়ে দাও (অর্থাৎ বড় হতে দাও)।”