আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম: আল্লাহর কাছে কোন গুনা...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন: সবচেয়ে বড় দু’টি গুনাহের মধ্যে প্রথমটি হলো: আল্লাহর সাথে শির্ক...
আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা বলেন, আমি অংশীদ...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা বলেছেন: তিনি অংশীদারদের চেয়ে অংশীদারিত্ব [শির্ক] থেকে অধিক...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আমার সকল উম্মত জান্নাতে যাবে, যে অস্বীকার করবে সে ব্...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদীসে সংবাদ দিয়েছেন, তাঁর সকল উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে, তবে যে অস্বীকার করল সে ব্যতীত। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস ক...
‘উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “তোমরা আমার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো ন...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রশংসা এবং আল্লাহর গুণাবলী ও তাঁর সাথে নির্ধারিত কর্মসমূহের দ্বারা তার গুণাবলী বর্ণনা অথবা তিনি গায়েব জানেন...
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ (পূর্ণ) মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্য...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, একজন মুসলিম ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ ঈমানের অধিকারী হতে পারবে না, যতক্ষণ সে রাসূলুল্লাহ...

আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম: আল্লাহর কাছে কোন গুনাহ সবচেয়ে বড়? তিনি বললেন: আল্লাহর জন্য শরীক সাব্যস্ত করা; অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।” আমি বললাম: এতো সত্যিই বড় গুনাহ। আমি বললাম: তারপর কোন গুনাহ? তিনি উত্তর দিলেন: “তুমি তোমার সন্তানকে এই ভয়ে হত্যা করবে, সে তোমার সঙ্গে আহার করবে।” আমি জিজ্ঞেস করলাম: এরপর কোনটি? তিনি উত্তর দিলেন: “তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে তোমার ব্যভিচার করা।”

আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা বলেন, আমি অংশীদারদের চেয়ে অংশীদারিত্ব [শির্ক] থেকে অধিক অমুখাপেক্ষী। কেউ যদি এমন কাজ করে, যাতে সে আমার সঙ্গে অন্য কাউকে অংশীদার স্থাপন করে, তাহলে আমি তাকে তার অংশীদারিত্ব [শির্ক] সহ বর্জন করে থাকি।’’ [1]

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আমার সকল উম্মত জান্নাতে যাবে, যে অস্বীকার করবে সে ব্যতীত।” তারা জিজ্ঞেস করলেন, কে অস্বীকার করবে? তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “যারা আমার আনুগত্য স্বীকার করেছে তারা জান্নাতে যাবে। আর যে আমার নাফরমানী করল সেই অস্বীকার করল।”

‘উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “তোমরা আমার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেমনটি খৃস্টানরা ঈসা ইবনু মারইয়াম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি তো কেবল তাঁর (আল্লাহর) বান্দা। তাই তোমরা বল, আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।”

আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ (পূর্ণ) মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা, তার সন্তান-সন্ততি এবং অন্যান্য সকল মানুষ হতে প্রিয়তম হই।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “আমি যে ব্যাপারে তোমাদেরকে (বর্ণনা না দিয়ে) ছেড়ে দিয়েছি, সে ব্যাপারে তোমরা আমাকে ছেড়ে দাও (অর্থাৎ সে ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করো না)। কারণ, তোমাদের পূর্ববর্তীরা তাদের অধিক প্রশ্ন করার এবং তাদের নবীদের সঙ্গে মতভেদ করার ফলে ধ্বংস হয়ে গেছে। সুতরাং আমি যখন তোমাদেরকে কোনো জিনিস থেকে নিষেধ করব, তখন তোমরা তা থেকে দূরে থাক। আর যখন আমি তোমাদেরকে কোনো কাজের আদেশ দেব, তখন তোমরা তা সাধ্যমত পালন কর।”

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমার কথা (অন্যদের নিকট) পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়। বনী ইসরাঈল থেকে (ঘটনা) বর্ণনা কর, তাতে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যারোপ করল, সে যেন জাহান্নামকেই তার ঠিকানা নির্ধারিত করে নেয়।”

আল-মিকদাম ইবনু মা‘দী কারিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সাবধান! অচিরেই এমন ব্যক্তির উদ্ভব হবে যে তার আসনে হেলান দেওয়া অবস্থায় বসে থাকবে এবং তার কাছে আমার থেকে হাদীস পৌঁছালে সে বলবে: আমাদের ও তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাবই রয়েছে। সুতরাং আমরা তাতে যা হালাল পাবো তাকেই হালাল গণ্য করব এবং তাতে যা হারাম পাবো তাকেই হারাম গণ্য করব। জেনে রাখ, প্রকৃত অবস্থা হল এই যে, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ যা হারাম করেছেন তা আল্লাহ যা হারাম করেছেন তার মতই হারাম।”

আয়িশাহ ও ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত,তাঁরা উভয়ে বলেছেন , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মৃত্যু যন্ত্রণা শুরু হলে তিনি তাঁর একটা চাদর নিজ মুখমন্ডলের ওপর নিক্ষেপ করতে থাকেন। যখন শ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম হয়, তখন মুখ হতে চাদর সরিয়ে দেন। এই অবস্থায় তিনি বললেনঃ “ইয়াহুদী ও নাসারাদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদ বানিয়েছে”। (এ বলে) তারা যে কার্যকলাপ করত তা হতে সতর্ক করেছিলেন।

আবূ হুরায়রা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “হে আল্লাহ! আমার কবরকে পূজনীয় মূর্তি বানিয়ে দিওনা। সেই সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহ লা‘নত বর্ষণ করেছেন, যে সম্প্রদায় তাদের নবীগণের কবরকে মসজিদ তথা সিজদার জায়গায় পরিণত করেছে।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা নিজেদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না, আর আমার কবরকে ঈদ বা মেলায় পরিণত করো না এবং তোমরা আমার ওপর দুরূদ পড়। কারণ, তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের দুরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়।”

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত: উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে তাঁর হাবশায় দেখা ‘মারিয়া’ নামক একটা গির্জার কথা উল্লেখ করলেন। তিনি সেখানে যে সব ছবি দেখেছিলেন, সেগুলোর বর্ণনা দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “এরা এমন সম্প্রদায় যে, এদের মধ্যে কোন সৎ বান্দা অথবা বলেছেন কোন সৎ লোক মারা গেলে তার কবরের উপর তারা মসজিদ নির্মাণ করত। আর তাতে ঐ সব ব্যাক্তির ছবি তৈরী করে স্থাপন করতো। এরা আল্লাহর কাছে নিকৃষ্ট সৃষ্টি।”