আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “হে আদম সন্তান! যখ...
এ হাদীসটি আল্লাহর রহমত, করম ও অনুগ্রহ যে কত ব্যাপক তার ওপর প্রমাণস্বরূপ। যেসব কারণসমূহ দ্বারা মানুষ ক্ষমা লাভ করে তা এ হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে। আর তা...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান রব থেকে বর্ণনা করে বলেছেন: “জনৈক বান্দা পাপ করে বলল, হে আমা...
এ হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান রবের থেকে বর্ণনা করে বলেন, বান্দা যখন পাপ করে, অতপর বলে, হে আমার রব! আমার পাপ মার্জনা করে দাও-...
আবূ মূসা আব্দুল্লাহ বিন কায়স আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, “নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তার হাত রাতে প্রসারিত করেন যেন দিনের অপরাধীরা তাওবা করে এবং দিনে...
“আল্লাহ তাআলা তাওবা কবুল করেন, যদিও দেরি হয়, যখন কোনো মানুষ দিনে পাপ করে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন যদিও সে রাতে তাওবা করে। অনুরূপভাবে মানুষ যখন রাতে...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমাদের মহান ও বরকতময় রব প্রতি রাতে যখন তার শেষ তৃতীয়াং...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, মহান ও বরকতময় আল্লাহ প্রতি রাতে শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে পৃথিবীর আসমানে অবতরণ করেন। ত...
নুমান ইবনু বাশীর রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: -এ সময় নু’মান রদিয়াল্লাহু ‘আ...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বস্তু হালাল-হারাম হওয়ার ব্যাপারে সাধারণ মূলনীতি বর্ণনা করেছেন। ইসলামী শরী‘আতে সকল বস্তু তিন প্রকারের হয়ে...

আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “হে আদম সন্তান! যখন তুমি আমাকে ডাকবে ও আমার ক্ষমার আশা রাখবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন; আমি কোনো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করব; আমি কোনো পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ পাপ নিয়ে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ কর; কিন্তু আমার সঙ্গে কাউকে শরীক না করে থাক, তাহলে পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে আমি তোমার নিকট উপস্থিত হব।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান রব থেকে বর্ণনা করে বলেছেন: “জনৈক বান্দা পাপ করে বলল, হে আমার রব! আমার পাপ মার্জনা করে দাও। তারপর আল্লাহ তা‘আলা বললেন: আমার বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন রব আছে, যিনি পাপ মার্জনা করেন এবং পাপের কারণে ধরেন। এ কথা বলার পর সে আবার পাপ করে এবং বলে, হে আমার রব ! আমার পাপ ক্ষমা করে দাও। তারপর আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমার এক বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন রব আছে যিনি পাপ মার্জনা করেন এবং পাপের কারণে তাকে ধরবেন। তারপর সে পুনরায় পাপ করে বলে, হে আমার রব! আমার পাপ মাফ করে দাও। এ কথা শুনে আল্লাহ তা‘আলা পুনরায় বলেন, আমার বান্দা পাপ করেছে এবং সে জানে যে, তার একজন রব আছে, যিনি বান্দার পাপ মার্জনা করেন এবং পাপের কারণে পাকড়াও করেন। তারপর আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে বান্দা! এখন যা ইচ্ছা তুমি আমল করো। আমি তোমার গুনাহ মাফ করে দিয়েছি।”

আবূ মূসা আব্দুল্লাহ বিন কায়স আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, “নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তার হাত রাতে প্রসারিত করেন যেন দিনের অপরাধীরা তাওবা করে এবং দিনে তার হাত প্রসারিত করেন যেন রাতের অপরাধীরা তাওবা করে, যে পর্যন্ত না পশ্চিম আকাশে সূর্য উঠবে।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমাদের মহান ও বরকতময় রব প্রতি রাতে যখন তার শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে পৃথিবীর আসমানে অবতরণ করেন। আর বলেন, কে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দিবো, কে আমার কাছে চাইবে আমি তাকে দান করব, কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব?”

নুমান ইবনু বাশীর রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: -এ সময় নু’মান রদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাঁর দুই আঙ্গুল দ্বারা উভয় কানের দিকে ইঙ্গিত করেন-: “নিশ্চই হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে বহু অস্পষ্ট বিষয়, অধিকাংশ লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এ সব অস্পষ্ট বিষয় থেকে দূরে থাকে, সে তার দীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে। আর যে লোক অস্পষ্ট বিষয়ে পতিত হবে, সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত (সরকারী) চারণভূমির আশ-পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে যে, পশু তার অভ্যন্তরে যেয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান! আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হল তার হারামকৃত বিষয়সমূহ। জেনে রাখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা মাংস আছে। যখন তা সুস্থ থাকে, তখন সমস্ত শরীরই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত শরীরই নষ্ট হয়ে যায়। মনে রেখো, তা হল ’ক্বলব’ (হৃদয়)।”

ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে (আরোহী) ছিলাম। তিনি বললেন: “ওহে বালক, আমি তোমাকে কিছু কালেমা শিখিয়ে দিচ্ছি। আল্লাহর (বিধানসমূহের) হিফাযত করবে। তিনি তোমার হিফাযত করবেন; আল্লাহর হিফাযত করবে, তাঁকে তোমার সামনে পাবে। যখন কিছু চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে, যখন সাহায্য চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইবে। জেনে রাখ, সমস্ত উম্মতও যদি তোমার উপকার করতে একত্রিত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ যা তোমার তকদীরে লিখে রেখেছেন তা ছাড়া কোন উপকার করতে পারবে না। আর সব উম্মত যদি তোমার কোন ক্ষতি করতে একত্রিত হয়ে যায়, তবে তোমার তাকদীরে আল্লাহ তা‘আলা যা লিখে রেখছেন তা ছাড়া তোমার কোন ক্ষতি তারা করতে পারবে না। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, আর লিখিত কাগজসমূহও শুকিয়ে গেছে।”

সুফিয়ান ইবন আব্দুল্লাহ আল সাকাফী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আপনি আমাকে ইসলাম সমন্ধে এমন কথা বলে দিন, আপনার পরে যেনো তা আমাকে আর কারো কাছে জিজ্ঞেস করতে না হয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: «قُلْ: آمَنْتُ بِاللهِ، ثُمَّ اسْتَقِمْ». “তুমি বলো, আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। তারপর এর ওপরই প্রতিষ্ঠিত থাকো।”

নু‘মান ইবন বাশীর থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, “পারস্পরিক দয়া, ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে মুমিনদের উদাহরণ একটি দেহের মতো। যখন শরীরের একটি অঙ্গ রোগাক্রান্ত হয়, তখন শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রাত্রি জাগরণ এবং জ্বরে অংশ নেয়।”

‘উসমান ইবনু ‘আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি অযু করে এবং তা উত্তমরূপে করে, তার দেহ থেকে সমুদয় গুনাহ বের হয়ে যায়, এমন কি তার নখের ভিতর থেকেও (গুনাহ) বের হয়ে যায়।”

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা সাগরে সফর করে থাকি এবং আমাদের সাথে সামান্য পরিমাণ (মিঠা) পানি রাখি। যদি আমরা তা দ্বারা অযু করি তবে আমরা পিপাসিত থাকবো এমতাবস্থায় আমরা সাগরের (লবণাক্ত) পানি দ্বারা অযু করতে পারি কি? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “সাগরের পানি পবিত্র এবং এর মৃত প্রাণী হালাল।”

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পানির (পাক-নাপাক হওয়ার) পরিমাণ এবং যে পানিতে চতুষ্পদ জন্তু ও হিংস্র জন্তু আসা-যাওয়া করে, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি (উত্তরে) বললেন, “পানি যখন দুই ‘কুল্লা’ হবে তখন তা নাপাক হবে না।”

আবূ আইয়ূব আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমরা পায়খানায় আসবে, তখন তোমরা কিবলামুখী হয়ে বসবে না, অথবা কিবলার দিকে পিঠ করেও বসবে না, বরং তোমরা পূর্ব-পশ্চিম দিকে ঘুরে বসবে।” আবূ আইয়ূব বলেছেন: আমরা শামে এসে দেখলাম যে, শৌচাগারগুলি কিবলার দিকে মুখ করে তৈরী করা, তখন আমরা অন্যদিক ঘুরে বসতাম এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতাম।