আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ পেশাব করবে তখন সে যেন তার প...
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদেরকে পেশাব করার সময় পুরুষাঙ্গ ডান হাত দিয়ে স্পর্শ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। পায়খানা বা পেশাব যেন ডান হ...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, যদি তোমাদের কেউ ঘুম থেকে জাগ্রত হয়, সে যেন অযু করে এবং তিনবার নাক পরিষ্কার করে। কারণ, শয়তান...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সংবাদ দেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ ঘুম থেকে ওঠে সে যেন অযু করে” অর্থাৎ অযু করার...
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সা‘ থেকে পাঁচ মুদ পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং এক মুদ পানি দিয়ে অযু করতে...
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হাদীস বর্ণনা করে বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সা‘ থেকে নিয়ে পাঁচ মুদ পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন। অর্থাৎ, তিনি...
আবূ হুরায়রা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “অযু নষ্ট হলে পুনরায় অযু না করা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদের কারো সাল...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন, সালাত শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো: ত্বাহারাত (পবিত্রতা অর্জন)। সুতরাং কেউ সালাত আদায় করতে ইচ্ছা ক...
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: এক ব্যক্তি অযু করল। কিন্তু সে তার পায়ের এক নখ পরিমাণ শুষ্ক রেখে দিল। রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লা...
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু সংবাদ দেন যে, এক ব্যক্তি ওযূ করল কিন্তু আল্লাহ যেভাবে ওযূকে পূর্ণ করার নির্দেশ দিলেন সেভাবে ওযূকে পূর্ণ করলেন না।...
আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ পেশাব করবে তখন সে যেন তার পুরুষাঙ্গ ডান হাত দিয়ে না ধরে, ডান হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করে। আর (পান করার সময়) পানির পাত্রে যেন নিঃশ্বাস না ফেলে।”
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, যদি তোমাদের কেউ ঘুম থেকে জাগ্রত হয়, সে যেন অযু করে এবং তিনবার নাক পরিষ্কার করে। কারণ, শয়তান তার নাকের ছিদ্রে রাত যাপন করে।
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সা‘ থেকে পাঁচ মুদ পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল করতেন এবং এক মুদ পানি দিয়ে অযু করতেন।
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: এক ব্যক্তি অযু করল। কিন্তু সে তার পায়ের এক নখ পরিমাণ শুষ্ক রেখে দিল। রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি তা দেখে বললেন, তুমি ফিরে যাও এবং তোমার অযূকে সুন্দর কর। লোকটি ফিরে গেল অতঃপর সালাত আদায় করল।
‘আমর বিন আমির সূত্রে আনাস বিন মালিক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক সালাতের সময় উযূ করতেন। আমি বললামঃ আপনারা কী করতেন? তিনি বললেনঃ হাদাস (উযূ ভঙ্গের কারণ) না হওয়া পর্যন্ত আমাদের (পূর্বের) উযূ যথেষ্ট হত।
‘উসমান ইবনু ‘আফফান -এর মুক্ত করা দাস হুমরান হতে বর্ণিত। সে দেখেছে, ‘উসমান ইবনু আফফান উযূর পানি নিয়ে ডাকলেন। তারপর তিনি পানির পাত্র হতে তাঁর উভয় হাতের উপর ঢাললেন এবং তাঁর দুই হাত তিনবার ধুলেন। অতঃপর তাঁর ডান হাত পানিতে ঢুকালেন। অতঃপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন ও নাক ঝাড়লেন। অতঃপর তাঁর মুখমন্ডল তিনবার ও তাঁর উভয় হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন, অতঃপর তাঁর মাথা মাসেহ করলেন। অতঃপর প্রত্যেক পা তিনবার ধুলেন; তারপর বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমার এই উযূর ন্যায় উযূ করতে দেখেছি। এবং তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার এই উযূর ন্যায় উযূ করল, তারপর দু’রাক‘আত সালাত আদায় করল তাতে সে তার মনে কনো কিছু উদয় করলো না, আল্লাহ্ তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন”।
আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: «إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَلْيَجْعَلْ فِي أَنْفِهِ ثُمَّ لِيَنْثُرْ، وَمَنِ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ، وَإِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِهِ فَلْيَغْسِلْ يَدَهُ قَبْلَ أَنْ يُدْخِلَهَا فِي وَضُوئِهِ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لاَ يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ».
“তোমাদের মধ্যে কেউ যখন অযু করে তখন সে যেন নাকে পানি দেয়, এরপর যেন নাক ঝেড়ে নেয়। আর যে ইস্তিঞ্জা করে সে যেন বেজোড় সংখ্যক ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে তখন সে যেন অযুর পানিতে হাত ঢুকানোর আগে তা ধুয়ে নেয়; কারণ তোমাদের কেউ জানে না যে, ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় থাকে।”
মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে:
«إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِهِ فَلَا يَغْمِسْ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا ثَلَاثًا، فَإِنَّهُ لَا يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ».
“তোমাদের কেউ যখন ঘূম থেকে উঠে, তখন সে যেন তার হাত তিনবার না ধোয়া পর্যন্ত পাত্রে না ঢুকায়। কারণ সে জানেনা যে, তার হাত রাতে কোথায় ছিল।”
ইবনু ’আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ”নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। এ সময় তিনি বললেন: “এদের ’আযাব দেয়া হচ্ছে; তবে কোন গুরুতর অপরাধের জন্য তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। তাদের একজন পেশাব হতে সতর্ক থাকত না। আর অপরজন চোগলখোরী(একের কথা অন্যজন কে লাগান) করে বেড়াত।” তারপর তিনি একখানি কাঁচা খেজুরের ডাল নিয়ে ভেঙ্গে দু’ভাগ করলেন এবং প্রত্যেক কবরের ওপর গেড়ে দিলেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কেন এমন করলেন? তিনি বললেন: “আশা করা যেতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত এ দু’টি শুকিয়ে না যায় তাদের আযাব হালকা করা হবে।”
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন টয়লেটে প্রবেশ করতেন, তখন বলতেন:
“ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الخُبُثِ وَالخَبَائِثِ ”
“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র জিনিস বা শয়তান নর-নারী থেকে আশ্রয় গ্রহণ করছি।”