সালিম ইবনু আবুল জা’দ সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি বললেন, যদি আমি সালাত আদায় করতাম তাহলে প্রশান্তি পেতাম, তারা যেন বিষয়টি অপছন্দ করল। তিনি বলল...
সাহাবীদের একজন বললেন, যদি আমি সালাত আদায় করতে পারতাম তাহলে প্রশান্তি পেতাম, তখন তার পাশে থাকা উপস্থিত লোকজন যেন সেটিকে দোষ মনে করলো। তিনি বললেন, আমি...
আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতে...
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের শুরুতে তাকবীরে তাহরীমা বলতেন তখন তাহরীমা ও সূরা ফাতিহা পড়ার মাঝে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। সাহ...
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন, তখন উভয় হাত তাঁর কাঁধ বর...
সালাত একটি মহান ইবাদত। সালাতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের আলাদা ইবাদত রয়েছে। তন্মধ্যে দুই হাত উল্লেখ্যযোগ্য, তার জন্যে রয়েছে আলাদা দায়িত্ব। যেমন সালাতের সৌন...
আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন একজন সহাবী এসে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল...
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন খাল্লাদ ইবন রাফে‘ নামক একজন সাহাবী মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং (সালাতের) কথা ও কর্ম অপ...
আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রমযান ও রমযান ছাড়া ফরজ হোক বা অন্য কোন সালাত হোক, দাঁড়িয়ে শুরু করার সময় "আল্লাহু আকবার" বলতেন, আবার...
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের পদ্ধতিসমূহের একটি অংশ বর্ণনা করছেন এবং তিনি সংবাদ দিচ্ছেন যে, নবী সাল্লা...
সালিম ইবনু আবুল জা’দ সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি বললেন, যদি আমি সালাত আদায় করতাম তাহলে প্রশান্তি পেতাম, তারা যেন বিষয়টি অপছন্দ করল। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, “হে বিলাল! সালাত কায়িম করো। আর তার মাধ্যমে আমাদেরকে শান্তি দাও”।
আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক, তাকবীর ও কিরাআত এর মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কী পাঠ করেন? তিনি বললেন, এ সময় আমি বলি-“হে আল্লাহ! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দাও যেমন ব্যবধান করেছ পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ আমাকে আমার গুনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র কর যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও।”
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন, তখন উভয় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকূ‘তে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকূ‘ হতে মাথা উঠাতেন তখনও একইভাবে দু’হাত উঠাতেন এবং سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। কিন্তু সাজদার সময় এমন করতেন না।
আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন একজন সহাবী এসে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেন, ফিরে যাও ও সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। তিনি ফিরে গিয়ে পূর্বের মত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেন, ফিরে গিয়ে সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। এভাবে তিনবার বললেন। সহাবী বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমিতো এর চেয়ে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তাক্বীর বলবে। অতঃপর কুরআন হতে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। অতঃপর রুকু‘তে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে রুকূ‘ করবে। অতঃপর মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর ধীরস্থীরভাবে সাজাদহ করবে ও সাজদাহ্ হতে উঠে স্থির হয়ে বসবে। আর তোমার পুরো সালাতে এভাবেই করবে।”
আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রমযান ও রমযান ছাড়া ফরজ হোক বা অন্য কোন সালাত হোক, দাঁড়িয়ে শুরু করার সময় "আল্লাহু আকবার" বলতেন, আবার রুকূ‘তে যাওয়ার সময় "আল্লাহু আকবার" বলতেন। অতঃপর (রুকূ‘ হতে উঠার সময়) سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন, সিজদা্য় যাওয়ার পূর্বে رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। অতঃপর সিজদার জন্য অবনত হবার সময় আল্লাহু আকবার বলতেন। আবার সিজদা্ হতে মাথা উঠানোর সময় "আল্লাহু আকবার "
বলতেন। অতঃপর (দ্বিতীয়) সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন এবং সিজদা্ হতে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলতেন। দু’ রাক‘আত আদায় করে দাঁড়ানোর সময় আবার তাকবীর বলতেন। সালাত শেষ করা পর্যন্ত প্রতি রাক‘আতে এরূপ করতেন। সালাত শেষে তিনি বলতেন, যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! তোমাদের মধ্য হতে আমার সালাত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। দুনিয়া হতে বিদায় নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই সালাতই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত ছিল।
ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি সাতটি অঙ্গের দ্বারা সিজদা করার জন্য নির্দেশিত হয়েছি। কপাল দ্বারা এবং তিনি হাত দিয়ে নাকের প্রতি ইশারা করে এর অন্তর্ভুক্ত করেন, আর দু’ হাত, দু’ হাঁটু এবং দু’ পায়ের আঙ্গুলসমূহ দ্বারা। আর আমরা যেন চুল ও কাপড় গুটিয়ে না নেই।”
আবূ উমামাহ রাদয়িাল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কোন দো‘আ সর্বাধিক শোনা (কবুল করা) হয়?’ তিনি বললেন, “রাত্রির শেষভাগের মাঝে এবং ফরয সালাতসমূহের শেষাংশে।”
জারীর বিন আব্দুল্লাহ রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: একবার আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি রাতে (পূর্ণিমার) চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন: “তোমরা শীঘ্রই তোমাদের রব্ব কে দেখতে পাবে, যেমনি তোমরা এ চাঁদটিকে দেখতে পাচ্ছো। তাঁকে দেখতে তোমাদের কোনো অসুবিধা হবে না(ভিড়ে ঠেলাঠেলিও করবেনা)। অতএব, তোমরা যদি সক্ষম হও, সূর্য উঠার আগের সালাত ও সূর্য ডুবার পূর্বের সালাত (যথাযথভাবে) আদায় করতে পরাজিত হবে না, তাহলে তাই করো।” অতপর তিনি তিলাওয়াত করলেন:
{وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ}»
“কাজেই তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ করো সূর্য উদয়ের আগে ও অস্ত যাওয়ার আগে।”
জুনদুব ইবনু আব্দুল্লাহ আল-কাসরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করলো সে আল্লাহর যিম্মাদারিতে থাকলো। অতএব আল্লাহ যেন আপন যিম্মাদারীর কোন বিষয় সম্পর্কে তোমাদের বিপক্ষে বাদী না হন। কারণ তিনি যার বিপক্ষে আপন দায়িত্বের কোন ব্যাপারে বাদী হবেন, তাকে (নিশ্চিত) ধরতে পারবেনই। অতঃপর তিনি তাকে উপুড় করে জাহান্নামের আগুনে ফেলবেন।”
বুরাইদাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: শীঘ্র ‘আসরের সালাত আদায় করে নাও। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি ‘আসরের সালাত ছেড়ে দেয় তার ‘আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।”