আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানা থেকে বের হন, তিনি বলেন, “হে আল্লাহ আমি তোমার ক...
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহুার হাদীসে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রয়োজন পূরনের স্থান থেকে বের হওয়ার সময় বলতেন, “হে আল্লাহ আম...
‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ ও আল্লাহর...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, আরাক গাছ বা অনুরূপ কোন গাছের ডাল দিয়ে দাত মাজন মুখের ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধ থেকে মুখকে...
হুযায়ফাহ ইবনুল ইয়ামন (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে (সালাতের জন্য) উঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ...
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি রাসূলের ভালোবাসা ও দুর্গন্ধের প্রতি তার ঘৃণা থেকে তিনি যখন দীর্ঘ রাতে ঘুম থেকে উঠতেন যা মুখকে দুর্গন্ধযুক্ত করে তখন তিনি ম...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যদি আমি আমার উম্মতের উপর কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রতি...
উম্মতের প্রতি রাসূলের পরিপূর্ণ হিতাকাংখিতা ও কল্যাণকে পছন্দ করা এবং তাদের উপকার হয় এমন কর্ম করে যেন তারা পরিপূর্ণ সৌভাগ্য লাভ করতে সেই প্রেরণা থেকে তি...
আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক মুসলিমের উচিত সাত দিনে এক দিন গোসল...
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, প্রত্যেক সাবালক মুসলিমের উপর হক হলো, সপ্তাহের সাত দিনের এক দিনে গোসল করা। এই দিন পবিত্রতা...

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানা থেকে বের হন, তিনি বলেন, “হে আল্লাহ আমি তোমার ক্ষমা চাই”। ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় গেলেন, তখন তিনি আমাকে তিনটি পাথর আনতে নির্দেশ দেন। আমি দুটি পাথর পেলাম এবং তৃতীয়টি তালাশ করলাম কিন্তু পেলাম না। ফলে আমি একটি শুকনো গোবর পেয়ে তার নিকট নিয়ে আসলে তিনি পাথর দুটি গ্রহন করলেন এবং গোপর ফেলে দিলেন। আর বললেন, “এটি নাপাক”।

‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ ও আল্লাহর সন্তোষ লাভের উপায়।”

হুযায়ফাহ ইবনুল ইয়ামন (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে (সালাতের জন্য) উঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন”।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যদি আমি আমার উম্মতের উপর কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রতি সালাতের সময় আমি তাদের মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম।”

আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক মুসলিমের উচিত সাত দিনে এক দিন গোসল করা। এই দিন সে তার মাথা ও শরীর ধৌত করবে”।

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “ফিতরাত (ভালো স্বভাব) পাঁচটি: খাতনা করা, (নাভির নীচে) ক্ষুর ব্যবহার করা, গোঁফ ছোট করা, নখ কাটা ও বগলের পশম উপড়ে ফেলা।”

’আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: كُنْتُ رَجُلًا مَذَّاءً وَكُنْتُ أَسْتَحْيِي أَنْ أَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَكَانِ ابْنَتِهِ فَأَمَرْتُ الْمِقْدَادَ بْنَ الْأَسْوَدِ فَسَأَلَهُ فَقَالَ: «يَغْسِلُ ذَكَرَهُ وَيَتَوَضَّأُ» ‘আমার বেশি বেশি(লজ্জাস্থানে) মাযী বের হতো। আমি এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করতাম। কারণ তার কন্যা ছিল আমার স্ত্রী। তাই আমি মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদকে (এ সম্পর্কে জানতে) বললাম। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন। তখন তিনি বললেন: “এতে তার পুরুষাঙ্গ ধুয়ে ফেলবে এবং অযু করে নিবে।” বুখারীর বর্ণনায় রয়েছে: তিনি বলেন: «تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ». “তুমি অযু করো এবং তোমার পুরুষাঙ্গ ধুয়ে ফেলো।”

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الجَنَابَةِ، غَسَلَ يَدَيْهِ، وَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، ثُمَّ اغْتَسَلَ، ثُمَّ يُخَلِّلُ بِيَدِهِ شَعَرَهُ، حَتَّى إِذَا ظَنَّ أَنَّهُ قَدْ أَرْوَى بَشَرَتَهُ، أَفَاضَ عَلَيْهِ المَاءَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ غَسَلَ سَائِرَ جَسَدِهِ، وَقَالَتْ: كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ، نَغْرِفُ مِنْهُ جَمِيعًا. “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নাপাকি হতে ফরয গোসল করতেন তখন দুই হাত ধৌত করতেন। তারপর তিনি সালাতের অযুর মতো করে অযু করতেন। তারপর গোসল করতেন। তারপর তিনি তার হাত দিয়ে চুল খিলাল করতেন। তারপর যখন তিনি নিশ্চিত হতেন যে, তিনি চুলের গোড়ায় চামড়াতে পানি পৌছাতে সক্ষম হয়েছেন তখন তিনি তার ওপর তিনবার পানি প্রবাহিত করতেন। তারপর তিনি সমগ্র শরীর ধৌত করতেন। আর তিনি (আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা ) বলেন: আমি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করতাম। আমরা উভয়েই তা থেকে পানি উঠাতাম।”

‘আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমাকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটা প্রয়োজনে বাইরে পাঠিয়েছিলেন। সফরে আমি জুনুবী হয়ে পড়লাম এবং পানি পেলাম না। এজন্য আমি জন্তুর মত মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম। পরে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ঘটনাটি বর্ণনা করলাম। তখন তিনি বললেন, “তোমার জন্য তো এটুকুই যথেষ্ট ছিল যে, তুমি তোমার হাত দ্বারা এরূপ করবে: তারপর তিনি দু’ হাত মাটিতে মারলেন এবং তিনি বাম হাতকে ডান হাতের উপর মাসেহ করলেন। আর দুই হাতের কব্জির সম্মুখভাগ ও চেহারাকে মাসেহ করলেন”।

মুগীরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে কোন এক সফরে ছিলাম। (উযূ করার সময়) আমি তাঁর মোজা দু’টি খুলার জন্য ঝুকলে তিনি বললেন: ও দু’টো থাক, আমি পবিত্র(ওজু) অবস্থায় ও দু’টি পরেছিলাম।" (এই বলে) তিনি তার উপর মাসেহ করলেন।

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ফাতিমা বিনত আবূ হুবায়শ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন: আমার ইস্তিহাযা (মেয়েদের অনিয়মিত রক্ত ঝরা) হয়েছে এবং পবিত্র হচ্ছি না। আমি কি সালাত ছেড়ে দিবো? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “না, ওটা শিরার (ধমনী) রক্ত। তবে এরূপ হওয়ার আগে নিয়মিত যতদিন হায়য হতো সে কয়দিন সালাত অবশ্যই ছেড়ে দাও। তারপর গোসল করে নিবে ও সালাত আদায় করবে।”

আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ যখন তার পেটে কোন কিছু অনুভব করে, তারপর তার সন্দেহ হয় যে, পেট থেকে কিছু বের হল কি না। তখন সে মসজিদ থেকে বের হবে না যতক্ষণ না শব্দ শোনে অথবা গন্ধ পায়”। (অর্থাৎ ওযু ভঙ্গের পূর্ণ বিশ্বাস না হওয়া পর্যন্ত যেন বের না হয়।)