আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: أَمَا يَخْشَى أَحَدُكُمْ - أَوْ: لاَ يَخْشَى أَحَدُكُمْ - إِذَ...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে কঠোর শাস্তির ভয় প্রদর্শন করেছেন, যে কেউ ইমামের পূর্বে মাথা উঠিয়ে ফেলে, আল্লাহ তা‘আলা তার মাথা গাধার মাথায়...
আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কারো সালাতে যদি সন্দেহ হয়—কত র...
হাদীস শরীফটি সালাত অবস্থায় একজন মুসলিমের সন্দেহ হলে কী করবে তার প্রদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণনা দেয়। আর তা হলো, সে বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করবে। যদি তার সন্দেহ...
ওয়াবেসাহ ইবন মা‘বাদ আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক লোককে কাতারের বাহিরে একা সালাত আদায় করতে দ...
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত থেকে ফেরার পর দেখেন এক লোক কাতারের বাহিরে একা সালাত আদায় করছে। তখন তিনি তাকে যে সালাত কাতারের বাহিরে...
ইবন মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এমন এক ব্যক্তির সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো যে সারা রাত এমনকি ভোর প...
হাদীসের অর্থ: ইবন মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এক ব্যক্তির সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো যে সারারাত এমনকি ভোর...
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত, “যত দিন সূর্য উদিত হয়েছে তার ভেতর শ্রেষ্ঠ হচ্ছে জুমার দিন। তাতেই আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাতেই...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দিচ্ছেন যে, যতদিন সূর্য উদিত হয়েছে তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম জুমার দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আদম হচ্ছ...

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: أَمَا يَخْشَى أَحَدُكُمْ - أَوْ: لاَ يَخْشَى أَحَدُكُمْ - إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ قَبْلَ الإِمَامِ، أَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ رَأْسَهُ رَأْسَ حِمَارٍ، أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ صُورَتَهُ صُورَةَ حِمَارٍ “তোমাদের কেউ যখন ইমামের পূর্বে মাথা উঠিয়ে ফেলে, তখন সে কি ভয় করে না যে, আল্লাহ তা‘আলা তার মাথা গাধার মাথায় পরিণত করে দিবেন, অথবা তার আকৃতি গাধার আকৃতি করে দিবেন।”

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কারো সালাতে যদি সন্দেহ হয়—কত রাকা‘আত পড়ছে তিনি না চার তা জানে না, সে যেন সন্দেহ পরিহার করে প্রবল ধারণার উপর ভিত্তি করে। তারপর সালাত শেষ করার পর সালামের পূর্বে দু’টি (সাহু) সাজদাহ করবে। যদি সে পাঁচ রাকা‘আত পড়ে থাকে তাহলে তা তার সালাতকে জোড় করবে। আর যদি সালাত চার রাকা‘আত পূর্ণ করার জন্য আদায় করে থাকে, তাহলে সাজদাহ দু’টি হবে শয়তানের জন্য নাকে খত দেয়ার মত অপ্রীতিকর।

ওয়াবেসাহ ইবন মা‘বাদ আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক লোককে কাতারের বাহিরে একা সালাত আদায় করতে দেখে তাকে সালাত পুণরায় আদায় করার নির্দেশ দেন।

ইবন মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এমন এক ব্যক্তির সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো যে সারা রাত এমনকি ভোর পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিলো। তখন তিনি বললেন, “সে এমন ব্যক্তি যার উভয় কানে অথবা তিনি বললেন, তার কানে শয়তান পেশাব করেছে।”

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত, “যত দিন সূর্য উদিত হয়েছে তার ভেতর শ্রেষ্ঠ হচ্ছে জুমার দিন। তাতেই আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাতেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং তাতেই তাকে সেখান থেকে বের করা হয়েছে।”

আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমু‘আহর দিন জানাবাতের গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং প্রথম পর্যায়ে সলাতের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। আর যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। আর যে ব্যক্তি তৃতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। আর যে ব্যক্তি চতুর্থ পর্যায়ে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। আর যে ব্যক্তি পঞ্চম পর্যায়ে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী পেশ করল। পরে ইমাম যখন খুতবাহ দেয়ার জন্য বের হন তখন মালাইকাহ যিকির শ্রবণের জন্য উপস্থিত হয়।

সাওবান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের সালাম ফিরানোর পর তিনবার (ইস্তিগফার) ক্ষমা প্রার্থনা করতেন, তারপর এ দু’আ পড়তেন: اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ، وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আপনিই সালাম। আপনার পক্ষ থেকেই শান্তি। আপনি বরকতময়, হে মহামহিম ও মহা সম্মানিত। বর্ণনাকারী ওয়ালিদ রহ. বলেন, আমি আওযা‘ঈ রহ.কে জিজ্ঞেস করলাম: ইসতিগফার কীভাবে করব? তিনি বললেন: তুমি এভাবে বলবে: أَسْتَغْفِرُ اللهَ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

আবূ যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: ইবনু যুবায়র রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু প্রত্যেক ওয়াক্ত সালাতে সালাম ফিরানোর পর বলতেন: («لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، ‌وَلَا ‌نَعْبُدُ ‌إِلَّا إِيَّاهُ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ») অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মাবূদ নেই। তিনি একক ও তাঁর কোন শরীক নেই। তিনিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সব প্রশংসা তারই প্রাপ্য। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রিবর্তন হওয়ার কোন শক্তি নেই। আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মাবূদ নেই। তাকে ছাড়া আর কারো ইবাদাত করি না; তাঁরই যত নেয়ামত, তাঁরই অনুগ্রহ ও তাঁরই উত্তম যত প্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া আর সত্য কোন মাবূদ নেই, তাঁরই জন্য খালেস দীন যদিও কাফিরদের তা পছন্দ নয়। আর তিনি (ইবনুয যুবায়র) বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ওয়াক্ত সালাতের পরে কথাগুলো বলে আল্লাহর প্রশংসা করতেন।

মুগীরাহ বিন শু’বাহ -এর লেখক ওয়ার্রাদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুগীরাহ বিন শু’বাহ আমাকে দিয়ে মু’আবিয়াহ -কে একখানা পত্র লিখালেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ফরয সালাতের পর বলতেন: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ» ’’আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য কোন মাবূদ নেই, তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই। প্রশংসা তাঁরই, তিনি সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। হে আল্লাহ্! আপনি যা প্রদান করতে চান তা রোধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রোধ করেন তা প্রদান করার কেউ নেই। সম্মান ওয়ালার সম্মান কোন উপকারে আসে না তোমার থেকেই সম্মান।’’

আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফরয সালাতের পরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে কোন কিছুই বাঁধা দেবে কেবল মৃত্যু ছাড়া। অপর বর্ণনায় বর্ণিত “এবং কুল হুয়াল্লাহু আহাদ”।

ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ”নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আমি দশ রাক‘আত সালাত আমার স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে রেখেছি। যুহরের পূর্বে দু’রাক‘আত, পরে দু’ রাক‘আত, মাগরিবের পরে দু’রাক‘আত তাঁর ঘরে, ‘ইশার পরে দু’রাক‘আত তাঁর ঘরে এবং দু’রাক‘আত সকালের (ফজরের) সালাতের পূর্বে। আর সময়টি ছিল এমন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট (সচরাচর) কোন লোককে প্রবেশ করতে দেয়া হতো না। তবে উম্মুল মু’মিনীন হাফসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, যখন মুআয্‌যিন আযান দিতেন এবং ফজর (সুবহে-সাদিক) উদিত হতো, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করতেন। অপর বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুম‘আর পরে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করতেন।

আয়িশাহ্ রাদয়িাল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের পূর্বে চার রাক‘আত এবং সকালের (ফজের পূর্বে) দু’রাক‘আত সালাত ছাড়তেন না।