আবূ কাতাদাহ আস-সালামী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন বসা...
যে ব্যক্তি যে কোনো সময়, যেকোন উদ্দেশ্যে মসজিদে আসলে নবী সাল্লালল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বসার পূর্বে দু’রাকাত সালাত আদায় করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। আ...
আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জুমু‘আর দিন ইমামের খুতবাহ দেওয়ার সময় যখন তুমি তোমা...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করছেন যে, যিনি জুমা‘আর খুতবাতে হাজির হবেন তার অবশ্য পালনীয় (ওয়াজিব) আদব হলো: (জুমআর) উপদেশসমূহে মনোযোগ দিয়ে...
ইমরান ইবনু হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার অর্শরোগ ছিল। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সালাত সম্পর্কে প...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন, সালাতের মূল হলো দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। তবে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে সমর্থ না থাকলে বসে সাল...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মাসজিদুল হারাম ব্যতীত আমার এ মসজিদে সালাত আদায় করা অন্য মসজিদে...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মসজিদে সালাত আদায় করার ফযীলত বর্ণনা করেছেন। এবং তা যমীনের অন্যান্য মসজিদের তুলনায় এক হাজার সালাতের চেয়ে উত্তম...
মাহমূদ বিন লাবীদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত: ‘উসমান ইবনু ‘আফ্ফান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মসজিদ (মাসজিদুন নাববী) নির্মাণ করার ইচ্ছা করলেন তখন লোকেরা তা অ...
‘উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মসজিদে নববীকে তার প্রথম অবকাঠামোর চেয়ে সুন্দর অবকাঠামোতে তৈরি করার ইচ্ছা করলেন। মানুষেরা তা অপছন্দ করলেন, কারণ তার ভেতর ছিল...

আবূ কাতাদাহ আস-সালামী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন বসার আগে দু’রাকাত সালাত আদায় করে”।

আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জুমু‘আর দিন ইমামের খুতবাহ দেওয়ার সময় যখন তুমি তোমার পাশের মুসল্লীকে বললে, ‘চুপ করো’, তখন তুমি অনর্থক কাজ করলে।”

ইমরান ইবনু হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার অর্শরোগ ছিল। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সালাত সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন: “দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তাতে সমর্থ না হলে বসে, যদি তাতেও সক্ষম না হও তাহলে কাত হয়ে শুয়ে।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মাসজিদুল হারাম ব্যতীত আমার এ মসজিদে সালাত আদায় করা অন্য মসজিদে এক হাজার সালাতের চেয়ে উত্তম”।

মাহমূদ বিন লাবীদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত: ‘উসমান ইবনু ‘আফ্ফান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মসজিদ (মাসজিদুন নাববী) নির্মাণ করার ইচ্ছা করলেন তখন লোকেরা তা অপছন্দ করলেন এবং তারা মসজিদকে তার অবস্থাতে রেখে দিতে পছন্দ করলেন। তখন তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্যে মাসজিদ নির্মাণ করল, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্যে জান্নাতে অনুরূপ তৈরি করবেন”।

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক সোনা ও চাঁদির অধিকারী ব্যক্তি যে তার হক (যাকাত) আদায় করে না, যখন কিয়ামতের দিন আসবে, তখন তার জন্য ঐ সমুদয় সোনা-চাঁদিকে আগুনে দিয়ে বহু পাত তৈরি করা হবে। অতঃপর সেগুলোকে জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তার পাঁজর, কপাল ও পিঠে দাগা হবে।যখনই সে পাত ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, তখনই তা পুনরায় গরম করে অনুরূপ দাগার শাস্তি সেই দিনে চলতেই থাকবে, যার পরিমাণ হবে ৫০ হাজার বছরের সমান; যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দাদের মাঝে বিচার-নিষ্পত্তি শেষ করা হয়েছে।অতঃপর সে তার পথ দেখতে পাবে; হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে।” জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আর উটের ব্যাপারে কি হবে?’ তিনি বললেন, “প্রত্যেক উটের মালিকও; যে তার হক (যাকাত) আদায় করবে না আর তার অন্যতম হক এই যে,পানি পান করাবার দিন তাকে দোহন করা (এবং সে দুধ লোকদের দান করা) যখন কিয়ামতের দিন আসবে, তখন তাকে এক সমতল প্রশস্ত প্রান্তরে উপুড় করে ফেলা হবে।আর তার উট সকল পূর্ণ সংখ্যায় উপস্থিত হবে; ওদের মধ্যে একটি বাচ্চাকেও অনুপস্থিত দেখবে না।অতঃপর সেই উটদল তাদের খুর দ্বারা তাকে দলবে এবং মুখ দ্বারা তাকে কামড়াতে থাকবে।এইভাবে যখনই তাদের শেষ দল তাকে দলে অতিক্রম করে যাবে, তখনই পুনরায় প্রথম দলটি উপস্থিত হবে।তার এই শাস্তি সেদিন হবে, যার পরিমাণ হবে ৫০ হাজার বছরের সমান; যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দাদের মাঝে বিচার-নিষ্পত্তি শেষ করা হয়েছে।অতঃপর সে তার শেষ পরিণাম দর্শন করবে; জান্নাতের অথবা জাহান্নামের।” জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! গরু-ছাগলের ব্যাপারে কি হবে?’ তিনি বললেন, “আর প্রত্যেক গরু-ছাগলের মালিককেও; যে তার হক আদায় করবে না, যখন কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে, তখন তাদের সামনে তাকে এক সমতল প্রশস্ত ময়দানে উপুড় করে ফেলা হবে; যাদের একটিকেও সে অনুপস্থিত দেখবে না এবং তাদের কেউই শিং-বাঁকা, শিং-বিহীন ও শিং-ভাঙ্গা থাকবে না। প্রত্যেকেই তার শিং দ্বারা তাকে আঘাত করতে থাকবে এবং খুর দ্বারা দলতে থাকবে। তাদের শেষ দলটি যখনই (ঢুস মেরে ও দলে) পার হয়ে যাবে তখনই প্রথম দলটি পুনরায় এসে উপস্থিত হবে। এই শাস্তি সেদিন হবে যার পরিমাণ ৫০ হাজার বছরের সমান; যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দাদের মাঝে বিচার-নিষ্পত্তি শেষ করা হয়েছে। অতঃপর সে তার রাস্তা ধরবে; জান্নাতের দিকে, নতুবা জাহান্নামের দিকে।” জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আর ঘোড়া সম্পর্কে কি হবে?’ তিনি বললেন, “ঘোড়া হল তিন প্রকারের; ঘোড়া কারো পক্ষে পাপের বোঝা, কারো পক্ষে পর্দাস্বরূপ এবং কারো জন্য সওয়াবের বিষয়। যে ঘোড়া তার মালিকের পক্ষে পাপের বোঝা তা হল সেই ব্যক্তির ঘোড়া, যে লোক প্রদর্শন, গর্বপ্রকাশ এবং মুসলিমদের প্রতি শত্রুতার উদ্দেশ্যে পালন করেছে। এ ঘোড়া হল তার মালিকের জন্য পাপের বোঝা।যে ঘোড়া তার মালিকের পক্ষে পর্দাস্বরূপ, তা হল সেই ব্যক্তির ঘোড়া, যাকে সে আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদের জন্য) প্রস্তুত রেখেছে। অতঃপর সে তার পিঠ ও গর্দানে আল্লাহর হক ভুলে যায়নি। তার যথার্থ প্রতিপালন করে জিহাদ করেছে। এ ঘোড়া হল তার মালিকের পক্ষে (জাহান্নাম হতে অথবা ইজ্জত-সম্মানের জন্য) পর্দাস্বরূপ।আর যে ঘোড়া তার মালিকের জন্য সওয়াবের বিষয়, তা হল সেই ঘোড়া যাকে তার মালিক মুসলিমদের (প্রতিরক্ষার) উদ্দেশ্যে কোন চারণভূমি বা বাগানে প্রস্তুত রেখেছে। তখন সে ঘোড়া ঐ চারণভূমি বা বাগানের যা কিছু খাবে, তার খাওয়া ঐ (ঘাস-পাতা) পরিমাণ সওয়াব মালিকের জন্য লিপিবদ্ধ হবে। অনুরূপ লেখা হবে তার লাদ ও পেশাব পরিমাণ সওয়াব। সে ঘোড়া যখনই তার রশি ছিড়ে একটি অথবা দু’টি ময়দান অতিক্রম করবে, তখনই তার পদক্ষেপ ও লাদ পরিমাণ সওয়াব তার মালিকের জন্য লিখিত হবে। অনুরূপ তার মালিক যদি তাকে কোন নদীর কিনারায় নিয়ে যায়, অতঃপর সে সেই নদী হতে পানি পান করে অথচ মালিকের পান করানোর ইচ্ছা থাকে না, তবুও আল্লাহ তা‘আলা তার পান করা পানির সমপরিমাণ সওয়াব মালিকের জন্য লিপিবদ্ধ করে দেবেন।” জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আর গাধা সম্পর্কে কি হবে?’ তিনি বললেন, “গাধার ব্যাপারে এই ব্যাপকার্থক একক আয়াতটি ছাড়া আমার উপর অন্য কিছু অবতীর্ণ হয়নি। আল্লাহ বলেন, فمن يعمل مثقال ذرة خيرا يره ومن يعمل مثقال ذرة شرا يره অর্থাৎ যে ব্যক্তি অণু-পরিমাণ সৎকর্ম করবে সে তাও (কিয়ামতে) প্রত্যক্ষ করবে এবং যে ব্যক্তি অণু-পরিমাণ অসৎকার্য করবে সে তাও (সেদিন) প্রত্যক্ষ করবে।” [সূরা যিলযাল, আয়াত: ৭-৮]

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সাদাকা করলে সম্পদ কমে যায় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আর কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনীত হলে তিনি তার মর্যাদা উঁচুতে তুলে দেন।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মহান আল্লাহ বলেন, খরচ কর, হে, আদম সন্তান ! আমিও খরচ করবো তোমার প্রতি।”

আবূ মাস‘ঊদ রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যখন ব্যক্তি তার পরিবারের জন্য সাওয়াবের উদ্দেশ্যে খরচ করে, তবে তা তার জন্যে সদাকা।”

‘উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “নগদ নগদ না হলে স্বর্ণের বদলে স্বর্ণের বিক্রয় রিবা হবে। নগদ নগদ ছাড়া রুপার বিনিময়ে রুপা বিক্রয় সুদ হবে। নগদ নগদ ছাড়া গমের বদলে গমের বিক্রয় সুদ হবে। নগদ নগদ ছাড়া যবের বদলে যবের বিক্রয় সুদ হবে।”

আবদুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক পুরুষ, মহিলা, আযাদ ও গোলামের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর অথবা বলেছেন রামযানের সাদাকা এক ‘সা‘ খেজুর বা এক ‘সা’ যব আদায় করা ফরয। বর্ণনাকারী বলেন অতঃপর লোকেরা প্রাপ্ত বয়স্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক সকলের পক্ষ থেকেই এক ‘সা’ এর বদলে অর্ধ সা গম দিতে লাগল। ”অন্য শব্দে এসেছে: “লোকজন ঈদের সালাতে বের হবার পূর্বেই তা আদায় করতে হবে।

আব্দুল্লাহ ইবন সালাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “হে লোকসকল! তোমরা পরস্পর সালাম বিনিময় করো, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখো, খাবার খেতে দাও এবং রাতের বেলা মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সালাত পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।”