তামীম আদ দারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, এ বিষয়টি (দীনকে) যেখানে রাত ও দি...
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দেন যে, এ দীন অচীরেই যমীনের সব অংশে ছড়িয়ে পড়বে। যে স্থানে রাত ও দিন পৌঁছে সেখানে এ দীনও পৌঁছে যাবে। আ...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সে সত্ত্বার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! ইয়াহুদি...
এ হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কসম করে বলেছেন, এ উম্মতের ইয়াহুদি, খৃস্টান বা অন্য যে কোন কারো কাছে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের...
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাক। তোমাদের পূর্ববর্তীদ...
এ হাদীসটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করা থেকে নিষেধ করেন। আর তা হলো দীনের মধ্যে সীমালঙ্ঘন করা। যেন আমর...
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “দ্বীনের ব্যাপারে নিজের পক্ষ থেক...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে দ্বীনের ও দুনিয়াবী ব্যাপারে, কথা ও কাজে হিদায়েত ও ইলেম ব্যতীত নিজের পক্ষ থেকে কঠোরতা অবলম্বনকারীদের ধ্বং...
আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “আল্লাহ তা...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টিজগতের তাকদীরে যা ঘটবে তা বিস্তারিতভাবে লাওহে মাহফুযে আসমান-যমীন সৃষ্টির...

তামীম আদ দারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, এ বিষয়টি (দীনকে) যেখানে রাত ও দিন পৌঁছে সেখানে পৌঁছবে। এ দীনকে প্রবেশ করানো ছাড়া গ্রাম ও শহরের কোন ঘরকে আল্লাহ ছাড়বেন না। সম্মানীকে সম্মানের সাথে অথবা অসম্মানীকে অসম্মানের সাথে এ দীনকে প্রতিটি ঘরে পৌঁছাবেন। এমন সম্মান যার দ্বারা আল্লাহ ইসলামকে সম্মানীত করবেন এবং এমন অসম্মান যার দ্বারা আল্লাহ কুফরকে অসম্মান করবেন। তামীম আদ-দারী বলতেন, এটি আমি আমার পরিবারের মধ্যে উপলব্ধি করেছি। তাদের মধ্যে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে তারা কল্যাণ, ইজ্জত ও সম্মান লাভ করেছে আর তাদের মধ্যে যারা কাফির ছিল, তারা বে ইজ্জতী, অপমান ও টেক্সের আওতায় পড়েছে।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সে সত্ত্বার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! ইয়াহুদি হোক আর খৃস্টান, যে ব্যক্তিই আমার এ রিসালাতের খবর শুনেছে; অথচ আমার রিসালাতের উপর ঈমান না এনে মারা যাবে, অবশ্যই সে জাহান্নামী হবে।”

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাক। তোমাদের পূর্ববর্তীদের বাড়াবাড়িই ধ্বংস করেছে।”

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “দ্বীনের ব্যাপারে নিজের পক্ষ থেকে কঠোরতা অবলম্বনকারীরা ধ্বংস হ। ১ তিনি কথাটি তিনবার বলেছেন।

আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টিজগতের তাকদীর আসমান-যমীন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর আগেই লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি আরো বলেছেন: “তখন তাঁর আরশ পানির উপরে ছিল।”

আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ রদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত: আমাকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীস বর্ণনা করেছেন আর তিনি হচ্ছেন সত্যবাদী এবং সত্যবাদী হিসেবে প্রত্যায়িত: “নিশ্চয় তোমাদের যে কোন ব্যক্তি তার মায়ের পেটে চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত অবস্থান করে, তারপরে একটি জমাট রক্ত হিসেবে অনুরূপ অবস্থান করে, তারপরে একটি গোশতের টুকরা হিসেবে অনুরূপ অবস্থান করতে থাকে। তারপরে আল্লাহ সেখানে ফেরেশতা পাঠান। তাকে চারটি বিষয়ের আদেশ করা হয় এবং সে তা লিপিবদ্ধ করে দেন: ব্যক্তির রিযিক, তার জীবন, তার কর্মকাণ্ড এবং সে সৌভাগ্যবান নাকি হতভাগ্য। তারপরে তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দেওয়া হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ জান্নাতের আমল করতে থাকবে, এমনকি তার মধ্যে এবং জান্নাতের মধ্যে মাত্র এক গজ দূরত্ব থাকবে, তখন তার দিকে লিপিবদ্ধ (তাকদীর) এগিয়ে আসবে আর সে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করতে থাকবে, ফলশ্রুতিতে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আবার তোমাদের কেউ জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করতে থাকবে, এমনকি তার মধ্যে এবং জাহান্নামের মধ্যে মাত্র এক গজ দূরত্ব থাকবে, তখন তার দিকে লিপিবদ্ধ (তাকদীর) এগিয়ে আসবে আর সে জান্নাতীদের ন্যায় আমল করতে থাকবে, ফলশ্রুতিতে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

ইবনু মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জান্নাত তোমাদের জুতার ফিতার চেয়েও বেশি নিকটে আর জাহান্নামও অনুরুপ।”

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “জাহান্নাম প্রবৃত্তি দিয়ে বেষ্টিত। আর জান্নাত বেষ্টিত দুঃখ-ক্লেশ ও অপছন্দনীয় জিনিস দিয়ে।”

আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করে বলেছেন: “যখন আল্লাহ তা‘আলা জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করলেন, তখন তিনি জিবরীল ‘আলাইহিস সালামকে জান্নাতে প্রেরণ করে বললেন: তুমি জান্নাতের দিকে তাকাও এবং এর অধিবাসীদের জন্য আমি যা প্রস্তুত করে রেখেছি তাও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ কর। জিবরীল জান্নাত দেখে ফিরে আসলেন। তারপরে বললেন: আপনার ইজ্জতের কসম! যে কোন ব্যক্তি এটা সম্পর্কে শোনা মাত্রই সেখানে প্রবেশ করবে। তারপরে আল্লাহ জান্নাতের চারপাশে কষ্টকর বিষয় দ্বারা ঢেকে দেওয়ার জন্য আদেশ করলেন। তারপর বললেন: তুমি আবার তা দেখে এসো এবং তার অধিবাসীদের জন্য যা প্রস্তুত রেখেছি, তা পর্যবেক্ষণ কর। তারপর জিবরীল জান্নাতের দিকে নজর দিলেন, তখন সেখানে সব কষ্টকর বিষয়গুলো দেখে বললেন: আপনার ইজ্জতের কসম! আমি ভয় পাচ্ছি যে, সেখানে কেউই প্রবেশ করতে পারবে না। তারপর আল্লাহ তা‘আলা বললেন: যাও জাহান্নাম দেখে এসো এবং সেখানে আমি তার অধিবাসীদের জন্য যা প্রস্তুত করে রেখেছি, তা পর্যবেক্ষণ কর। তখন তিনি সেখানে তাকালেন আর দেখতে পেলেন যে, তার এক অংশ অন্য অংশের উপরে আছড়ে পড়ছে। তিনি ফিরে এসে বললেন: আপনার ইজ্জতের কসম! এখানে কেউ প্রবেশ করবে না। তখন আল্লাহ তা‘আলা তার চারপাশে প্রবৃত্তির লালসা বা কামনা-বাসনা দ্বারা ঢেকে দেওয়ার আদেশ দিলেন। তারপরে তাকে বললেন: যাও, এবার দেখে এসো। তিনি সেখানে তাকানো মাত্র দেখলেন তার চারপাশে সব কামনা-বাসনার বস্তুগুলো দ্বারা আবৃত রয়েছে। তখন তিনি ফিরে এসে বললেন: আমি ভয় পাচ্ছি যে, যেই সেখান থেকে বাঁচার চেষ্টা করুক না কেন, সে তাতে প্রবেশ করবেই।”

আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কাছে বিদ্যমান আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তরভাগের একভাগ। জিজ্ঞাসা করা হল: হে আল্লাহর রাসূল: এটা যদি যথেষ্ট হত। তিনি বললেন: “এ আগুনের উপরে জাহান্নামের আগুনকে এমন ঊনসত্তর গুণ বর্ধিত করা হয়েছে যে, তার প্রতিটি অংশ একই রকম গরম।”

আবু হুরাইরা রদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাচাকে বলেছিলেন: “আপনি বলুন: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ তথা: আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মাবূদ নেই, তাহলে আমি আপনার জন্য কিয়ামাতের দিন সাক্ষ্য দেব।” তিনি বলেছিলেন: যদি কুরাইশরা আমাকে এ কথা বলে তিরস্কার না করত, তাকে একাজ করতে ভয় তাড়িত করেছে, তাহলে আমি তোমার চোখকে শীতল করতাম। তখন আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করলেন: إِنَّكَ لا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ যার অর্থ: “নিশ্চয় তুমি যাকে চাও, তাকে হিদায়াত দিতে পারবে না, বরং আল্লাহ যাকে খুশি হিদায়াত দেন।” [সূরা আল-কাসাস: ৫৬]।

আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর রদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমার হাউযটি এক মাসের সমান দূরত্ব। এর পানি দুধ অপেক্ষা বেশী সাদা, মেশক অপেক্ষা বেশী সুগন্ধিময়, এর পানপাত্র আসমানের তারকারাজির সমান। যে ব্যক্তি একবার তা থেকে পান করবে, সে আর কখনো পিপাসিত হবে না।”