নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী ‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নম্রতা যে...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয় কথা ও কাজে নম্রতা, কোমলতা ও ধীরস্থিরতা, কর্মের সৌন্দর্য, পরিপূর্ণতা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দ...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় দীন সহজ-সরল। দীন নিয়ে যে বাড়াবাড়ি করে দীন তার ওপর বিজয়ী হবে (সে পরাজিত হবে)। কাজেই তোমরা সঠিক পন্থা...
সহজ-সরলতা ও কোমলতা পরিহার করে কেউ দীনি কাজ করলে অবশ্যই ঐ কাজটি সম্পূর্ণ বা আংশিক পালন করতে সে অক্ষম হবে। অতএব, তোমরা দীন নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে মধ্যপন্থ...
আনাস রাযিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না, লোকদেরকে সুসংবাদ দাও, দূরে ঠেলে দিও না।”
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে দীন ও দুনিয়ার সকল কাজে হালকা ও সহজ করতে আদেশ দিয়েছেন এবং কঠিন করতে নিষেধ করেছেন। আর এটি আল্লাহ যা ছাড় দিয়ে...
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আমরা উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে (বসা) ছিলাম। তখন তিনি বললেন: “আমাদের কৃত্রিমতা (লৌকিকতা) থেকে নিষেধ...
‘উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সংবাদ দিয়েছেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে কথা ও কাজে প্রয়োজন ব্যতীত কষ্টসাধ্য কোন কিছু তে পতিত হওয়া থ...
ইবনু ‘উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ খায়, তখন সে যেন ডান হাতে খায় আর যখন...
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমকে তাঁর ডান হাতে খেতে ও পান করতে আদেশ করেন, এবং বাম হাতে খেতে ও পান করতে নিষেধ করেন। কারণ, শয়তান বাম হাতে খা...

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী ‘আয়িশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নম্রতা যে জিনিসেই থাকে, তাকে তা সুন্দর বানিয়ে দেয় এবং তা যে জিনিস থেকেই বের করে নেওয়া হয়, তাকে তা অসুন্দর বানিয়ে দেয়।’’

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় দীন সহজ-সরল। দীন নিয়ে যে বাড়াবাড়ি করে দীন তার ওপর বিজয়ী হবে (সে পরাজিত হবে)। কাজেই তোমরা সঠিক পন্থা অবলম্বন কর এবং এর নিকটবর্তী থাক, আশান্বিত থাক এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদতের মাধ্যমে) সাহায্য চাও। এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। বুখারীর অন্য বর্ণনায় এসেছে, তোমরা যথারীতি আমল কর, ঘনিষ্ট হও। তোমরা সকালে, বিকালে এবং রাতের শেষাংশে আল্লাহর কাজ কর। মধ্যম পন্থা অবলম্বন কর, মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। অবশ্যই মঞ্জিলে মাকসূদে পৌঁছবে।

আনাস রাযিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না, লোকদেরকে সুসংবাদ দাও, দূরে ঠেলে দিও না।”

আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আমরা উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে (বসা) ছিলাম। তখন তিনি বললেন: “আমাদের কৃত্রিমতা (লৌকিকতা) থেকে নিষেধ করা হয়েছে।”

ইবনু ‘উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ খায়, তখন সে যেন ডান হাতে খায় আর যখন পান করে সে যেন ডান হাতে পান করে। কারণ, শয়তান বাম হাতে খায় ও বাম হাতে পান করে”।

’উমার ইবনু আবূ সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি ছোট বেলায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার বাসনে আমার হাত ছুটাছুটি করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “হে বৎস! বিসমিল্লাহ বলো এবং ডান হাতে আহার কর আর তোমার কাছে থেকে খাও”। এরপর থেকে সেটাই আমার খাদ্য গ্রহণ করার স্থায়ী অভ্যাস ছিল।

আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ঐ বান্দাহর প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে খাবার খায়, অতঃপর তার উপর আল্লাহর প্রশংসা করে অথবা পানি পান করে, অতঃপর তার উপর আল্লাহর প্রশংসা করে।”

সালামা ইবনুল আকওয়া‘ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: أَنَّ رَجُلًا أَكَلَ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشِمَالِهِ، فَقَالَ: «كُلْ بِيَمِينِكَ»، قَالَ: لَا أَسْتَطِيعُ، قَالَ: «لَا اسْتَطَعْتَ»، مَا مَنَعَهُ إِلَّا الْكِبْرُ، قَالَ: فَمَا رَفَعَهَا إِلَى فِيهِ. এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশে বাম হাতে আহার করছিল। তিনি বললেন: “তুমি তোমার ডান হাতে আহার করো।” সে বললো, আমি পারবো না । তিনি বললেন: “তুমি যেন না-ই পারো।” একমাত্র অহংকারই তাকে বাধা দিচ্ছে। সালামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, সে আর তার ডান হাত মুখের কাছে তুলতে পারেনি।

জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি (কাঁচা) রসূন অথবা পিঁয়াজ খায়, সে আমাদের থেকে দূরে অবস্থান করবে অথবা আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকবে—এবং সে তার ঘরে অবস্থান করবে।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি পাত্র যার মধ্যে শাক-সব্জি ছিল আনা হলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গন্ধ পেলেন এবং এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন, তখন তাঁকে সে পাত্রে রক্ষিত শাক-সব্জি সম্পর্কে জানানো হলো, তখন একজন সাহাবীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তাঁর নিকট এগুলো পৌঁছে দাও। কিন্তু তিনি তা খেতে অপছন্দ করলেন, এ দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি খাও। আমি যাঁর সাথে গোপনে আলাপ করি তাঁর সাথে তুমি আলাপ কর না। জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে এক বর্ণনায় আছে যে, “যে ব্যক্তি (কাঁচা) পিঁয়াজ, রসূন এবং লীক পাতা খায়, সে যেন অবশ্যই আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়। কেননা, ফিরিশতাগণ সেই জিনিসে কষ্ট পান, যাতে আদম-সন্তান কষ্ট পায়”।

মু‘আয ইবন আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি আহার শেষে এই দো‘আ পড়বে-‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব্আমানী হা-যা অরাযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী অলা ক্বুউওয়াহ।’ (অর্থাৎ সেই আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমাকে এ খাওয়ালেন এবং জীবিকা দান করলেন, আমার কোন চেষ্টা ও সামর্থ্য ছাড়াই) সে ব্যক্তির পূর্বের সমস্ত পাপ মোচন করে দেওয়া হবে।”

ইবনু আব্বাস রদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দেওয়া রুখসত (শরয়ী বিধানের ছাড়) গ্রহণ পছন্দ করেন, যেভাবে তিনি তাঁর আযীমাত (শরয়ী বিধানের বাধ্যবাধকতা) পালনকে পছন্দ করেন।”

আবূ হুরায়রা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ যে ব্যক্তির কল্যাণ কামনা করেন, তাকে তিনি দুঃখ-কষ্টে পতিত করেন।”