/ “যে ব্যক্তি আমাদের এ শরী‘আতে নাই, এমন কিছু চালু করলো তা প্রত্যাখ্যাত।”

“যে ব্যক্তি আমাদের এ শরী‘আতে নাই, এমন কিছু চালু করলো তা প্রত্যাখ্যাত।”

‘আয়িশা রদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমাদের এ শরী‘আতে নাই, এমন কিছু চালু করলো তা প্রত্যাখ্যাত।” বুখারী ও মুসলিম । শুধু মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে: “যেএমন আমল করল যা আমাদের শরী‘আতে নেই তা প্রত্যাখ্যাত।”
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।

ব্যাখ্যা

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু আবিষ্কার করলো, অথবা এমন কোনো আমল করলো যার দলীল কুরআন ও হাদীসে নেই, তবে সেসব আমল আবিস্কারকারীর দিকে প্রত্যাখ্যাত হবে এবং আল্লাহর কাছে অগ্রহণযোগ্য।

Hadeeth benefits

  1. ইবাদতের মূলভিত্তি হলো কুরআন ও সুন্নাতে যা এসেছে তার ওপর। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্যে শরী‘আতে যেসব ইবাদত বিধিবদ্ধ করেছেন, আমরা শুধু তাই করবো। বিদ‘আত বা নব-আবিষ্কার করবো না।
  2. দ্বীন কোনো যুক্তি বা(ইস্তিহসান) উত্তম বিবেচনার নাম নয়। বরং দ্বীন হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিরঙ্কুশ অনুসরণ।
  3. হাদীসটি দ্বীনের পরিপূর্ণতার দলীল।
  4. বিদ‘আত হলো: দ্বীনের মধ্যে সেসব আক্বীদাহ, কথা ও আমল সৃষ্টি করা, যা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের যুগে বিদ্যমান ছিলো না।
  5. হাদীসটি ইসলামের মূলনীতিসমূহের একটি মূলনীতি। এটি সকল কর্মের মানদণ্ড। যেমনিভাবে কোনো আমল যখন আল্লাহর চেহারার(দর্শন) উদ্দেশ্য বা ইখলাস ব্যতীত করলে আমলকারী ব্যক্তির কোনো সাওয়াব হবে না, তেমনিভাবে যে কোন আমল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনীত পদ্ধতি অনুসারে না করলেও তা আমলকারী ব্যক্তির নিকট ফিরিয়ে দেওয়া হবে (এবং সে আমলের সাওয়াব পাবে না)।
  6. নিষিদ্ধ বিদ‘আতসমূহ মূলত যা দ্বীনের কোন বিষয়ে সংঘটিত হয়ে থাকে, দুনিয়ার কোন বিষয়ে নয়।