/ سَتَكُونُ أَثَرَةٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: «تُؤَدُّونَ الحَقَّ الَّذِي عَلَيْكُمْ، وَتَسْأَلُونَ اللَّهَ الَّذِي لَكُمْ “অচিরেই স্বজনপ্রীতি-স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ পাবে এবং এমন সব কর্মক...

سَتَكُونُ أَثَرَةٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: «تُؤَدُّونَ الحَقَّ الَّذِي عَلَيْكُمْ، وَتَسْأَلُونَ اللَّهَ الَّذِي لَكُمْ “অচিরেই স্বজনপ্রীতি-স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ পাবে এবং এমন সব কর্মক...

ইবন মাস’ঊদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: سَتَكُونُ أَثَرَةٌ وَأُمُورٌ تُنْكِرُونَهَا» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: «تُؤَدُّونَ الحَقَّ الَّذِي عَلَيْكُمْ، وَتَسْأَلُونَ اللَّهَ الَّذِي لَكُمْ “অচিরেই স্বজনপ্রীতি-স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ পাবে এবং এমন সব কর্মকান্ড ঘটবে যা তোমরা অপছন্দ করবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এমতাবস্থায় আমাদেরকে আপনি কী নির্দেশ করেন? নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে এবং তোমাদের প্রাপ্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে।”
মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।

ব্যাখ্যা

নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে সংবাদ দিয়েছেন যে, অচিরেই মুসলিমদের মধ্যে এমন একদল লোক তাদের শাসক হবে যারা মুসলিমদের সম্পদ ও অন্যান্য পার্থিব বিষয়াদি নিজেদের জন্যে অগ্রাধিকার দিবে, তাদের ইচ্ছে মতো তা ব্যয় করবে এবং মুসলিমদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে। এছাড়াও তাদের থেকে দ্বীনের ব্যাপারেও অপছন্দনীয় কর্মকান্ড ঘটবে। সাহাবীগণ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তখন তারা এ অবস্থায় কি করবে? তখন নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জানালেন, সম্পদের ব্যাপারে কাউকে অগ্রাধিকার দেওয়া যেন তোমাদেরকে তাঁদের জন্য আবশ্যকীয় বিষয় থেকে যেমন,(বৈধ ক্ষেত্রে) তাঁদের কথা শোনা ও আনুগত্য করা থেকে বিরত না রাখে। বরং তোমরা ধৈর্যধারণ করবে, তাদের মান্য করবে এবং আনুগত্য করবে। এ ব্যাপারে তাঁদের সাথে তোমরা বিবাদ করবে না। আল্লাহর কাছে তোমাদের প্রাপ্য অধিকার চায়বে এবং তোমরা দোয়া করবে, তিনি যেন তাদেরকে সংশোধন করে দেন এবং তাদের মন্দ ও যুলুম দূর করে দেন।

Hadeeth benefits

  1. উপরিউক্ত হাদীসটি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতের অন্যতম একটি দলীল, যেহেতু তিনি তার উম্মতের মধ্যে যা সংঘটিত হবে, তার সংবাদ দিয়েছেন। ফলে তিনি যেভাবে সংবাদ দিয়েছেন, সেগুলো ঠিক সেভাবেই সংঘটিত হয়েছে।
  2. আসন্ন বিপদে আপতিত ব্যক্তিকে, সে বিপদ সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া জায়েয, যাতে সে বুঝতে পারে যে, যখন বিপদ আসবে তখন যেন সে সাওয়াবের আশায় ধৈর্যধারণ করতে পারে।
  3. কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়িয়ে ধরাই ফিতনা ও মতানৈক্য থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়।
  4. হাদীসে সৎকাজে আমীরের নির্দেশনা ও আনুগত্য করা এবং তাদের দ্বারা যুলুম সংঘটিত হলেও তাদের আনুগত্য থেকে বের না হওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে।
  5. ফিতনার সময় হিকমত অবলম্বন করা এবং সুন্নাহর অনুরসরণ করা।
  6. মানুষের উচিত তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে আদায় করা; যদিও সে কিছুটা যুলুমের স্বীকার হয়।
  7. হাদীসে নিম্নোক্ত কায়েদার দলীল রয়েছে: দুটি অন্যায়ের তুলনামূলক সহজতর এবং দুটি ক্ষতিকর জিনিসের তুলনামূলক কম ক্ষতিকরটা গ্রহণ করা।