كيف تؤدي أعمال الحج

كيف تؤدي أعمال الحج

ভাষা: بنغالي
বর্ণনা:
مقالة باللغة البنغالية تبين اقسام الحج الثلاثة المفرد، والمتمتع والقارن، كما تبين أيضاً أركان الحج وواجباته وسننه مختصراً وبعض الأحكام لمن يترك بعض هذه الواجبات.

বিস্তারিত বিবরণ

    হজের কাজসমূহ কীভাবে করবেন?

    [ বাংলা – Bengali – بنغالي ]

    এ কিউ এম মাছুম বিল্লাহ

    সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    2014 - 1435

    ﴿ كيف تؤدي أعمال الحج؟﴾

    « باللغة البنغالية »

    أ قيو م معصوم بالله

    مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا

    2014 - 1435

    হজের কাজসমূহ কীভাবে করবেন?

    ((সংক্ষেপে

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

    ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু‘ হজ পালনকারীরা যেভাবে তাদের হজের বিধানসমূহ পালন করবেন

    আপনি কিরান হজ পালনকারী হলে যা করবেন

    আপনি তামাত্তু হজ পালনকারী হলে যা করবেন

    আপনি ইফরাদ হজ পালনকারী হলে যা করবেন

    দিনসমূহ

    ১- মিকাতে এসে যে কোনো (ফরয বা নফল) সালাতের পর (লাব্বাইকা ‘উমরাতান ওয়া হাজ্জান) বলে ইহরাম বাঁধবেন।

    ২- তাওয়াফুল কুদুম করবেন,

    ৩- সা‘ঈ করবেন (কিরান পালনকারী ১০ তারিখ ঈদের দিন পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকবেন, আর ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমুহ হতে দূরে থাকবেন)

    ১- মিকাতে এসে যে কোনো (ফরয বা নফল) সালাতের পর ‘‘লাব্বাইকা ‘উমরাতান’’ বলে উমরার ইহরাম বেঁধে উমরাহ পালন করবেন।

    ২- ‘উমরার তাওয়াফ করবেন।

    ৩- সা‘ঈ করবেন

    ৪- মাথা কামাবেন বা সকল চুল সমানভাবে ছোট করবেন

    ৫- ইহরাম ত্যাগ করে স্বাভাবিক পোষাক পরে হালাল হবেন। (৮ ই জিলহাজ পর্যন্ত স্বাভাবিক পোষাকে থাকবেন)। পরে ৮ ই জিলহাজ মক্কাবাসী এবং বহিরাগতরা মক্কায় তাদের নিজ জায়গা হতে “লাব্বাইকা হাজ্জান” বলে হজের জন্য ইহরাম বাঁধবেন।

    (সাবধান! ভিড় হতে পারে মনে করে ১০ তারিখের ফরয তাওয়াফ করলে তা আদায় হবে না। আর নফল তাওয়াফ করে ফরয তাওয়াফের পরের সা‘ঈ ৮ তারিখে করাও ভুল ‘আমল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনটি করেন নি, করতে বলেও যান নি।)

    ১- মিকাতে এসে যে কোনো (ফরয বা নফল) সালাতের পর “লাব্বাইকা হাজ্জান” বলে ইহরাম বাঁধবেন (মক্কাবাসী বা মক্কায় অবস্থানকারীরা মক্কায় তাদের নিজ বাড়ী বা হোটেল হতে ইহরাম বাঁধবেন।

    ২- ‘তাওয়াফুল কুদুম’ করবেন।

    ৩- সা‘ঈ করবেন। (আপনি ইফরাদ পালনকারী, তাই আপনি যদি তাওয়াফে কুদুমের পরে সা‘ঈ না করে থাকেন অথবা, তাওয়াফে কুদুম না করে যদি সরাসরি মিনা গিয়ে থাকেন, তবে আপনি ‘তাওয়াফে ইফাদা’ বা ফরয তাওয়াফের পরে সা‘ঈ করবেন), এভাবে আপনি ইহরাম অবস্থায় ১০ তারিখ ঈদের দিন পর্যন্ত থাকবেন।

    ৮ই জিলহজের আগে যা করবেন

    সূর্যোদয়ের পর থেকে যোহরের আগ পর্যন্ত নিজ জায়গা থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় যাওয়া মুস্তাহাব (সেখানে যোহর, আছর, মাগরিব, ‘ইশা ও ফজর সহ ৫ ওয়াক্ত সালাত সময়মতো আদায় করবেন। তবে, ৪ রাকা‘আত বিশিষ্ট সালাত কছর করে ২ রাকা‘আত আদায় করবেন, কারণ আপনি হজের সফরে আছেন)

    সূর্যোদয়ের পর থেকে যোহরের আগ পর্যন্ত নিজ জায়গা থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় যাওয়া মুস্তাহাব (সেখানে যোহর, আছর, মাগরিব, ‘ইশা ও ফজর সহ ৫ ওয়াক্ত সালাত সময়মতো আদায় করবেন। তবে, ৪ রাকা‘আত বিশিষ্ট সালাত কছর করে ২ রাকা‘আত আদায় করবেন, কারণ আপনি হজের সফরে আছেন)

    সূর্যোদয়ের পর থেকে যোহরের আগ পর্যন্ত নিজ জায়গা থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় যাওয়া মুস্তাহাব (সেখানে যোহর, আছর, মাগরিব, ‘ইশা ও ফজর সহ ৫ ওয়াক্ত সালাত সময়মতো আদায় করবেন। তবে, ৪ রাকা‘আত বিশিষ্ট সালাত কছর করে ২ রাকা‘আত আদায় করবেন, কারণ আপনি হজের সফরে আছেন)

    ৮ ই জিলহাজ তারিখে (ইয়ামুত্তারউয়ার দিনে) যা যা করবেন

    ১- ৯ই জিলহাজ সুর্যোদয়ের পর ‘আরাফাতে যাবেন। আরাফাতে গিয়ে যোহরের সময়ে, যোহর ও আছর ২টি নামাযই যোহরের ওয়াক্তে এক আযান ও ২ ইকামত দিয়ে ২ রাকাআত করে (কসর হিসেবে) আদায় করে নিবেন, আর যোহর পড়ার পর পরই আসর আদায় করে নিবেন, (এভাবে নামায আদায় করাকে ‘জমা‘ করা’ বলে), ইমামের সাথে জামা‘আতে না পড়তে পারলেও উপরোক্ত পদ্ধতি ও নিয়মে নামায ২টি পড়বেন। সুন্নাত পড়বেন না। (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে পড়েছেন, তাই আপনিও পড়ুন, কারো কথায় বিভ্রান্ত হবেননা, কারণ আপনি হজের সফরে আছেন) । আরাফাহর দিনে আরাফাতে হাজীদের জন্য সূন্নাত হলো: বেশী বেশী পরিমাণে আল্লাহর যিকর তথা সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ ইত্যাদি পাঠ করবেন এবং কুরআন তেলাওয়াত করবেন। আর এই দো‘আটিও বেশী বেশী পাঠ করবেন:

    لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

    ‘‘লা ইলাহা ইল্লা্ল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীইকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদি-র ”।

    সুন্নাত নিয়ম হলো: কিবলামুখী হয়ে দু হাত উঠিয়ে আল্লাহর নিকট দো‘আ করবেন। যেভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো‘আ করেছেন। জাবালে রহমতকে সামনে রেখে দো‘আ করবেন না। (বি:দ্র: আরাফাহর দিন রোযা রাখবেন যারা হজ করেছেননা তারা, তাই দেশে যারা আছেন, তারা যদি সক্ষম হয় তাদেরকে ঐ দিন রোযা রাখতে বলুন)

    ২- সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মুযদালিফার দিকে রাওয়ানা দিবেন। (সূর্য ডুবার আগে বের হয়ে আর আরাফাতে ফিরে না এলে দম দিতে হবে, তবে ভুল করে বের হলে আবার ফিরে এলে দম লাগবে না)

    ৩- মুযদালিফায় গিয়েই মাগরিব ও ‘এশা ২টি নামাযই ‘এশার ওয়াক্তে এক আযান ও ২ ইকামত দিয়ে প্রথমে মাগরিব ৩ রাকা‘আত এরপর এশা ২ রাকা‘আত (কসর হিসেবে) আদায় করে নিবেন, আর মাগরিব পড়ার সাথে সাথেই ‘এশাও আদায় করে নিবেন, (এভাবে নামায আদায় করাকে ‘জমা‘ করা’ বলে) । সুন্নাত পড়তে হবেনা, তবে বিতর বা উইতরের নামায পড়তে পারেন।মুযদালিফা যেতে আরাফাহ থেকেই আপনার হজ গাইডের সঙ্গ ছাড়বেন না।

    ৪- জামারাতুল ‘আকাবাতে কংকর নিক্ষেপের জন্য বুটের মতো ৭ টি পাথর মুযদালিফা হতে সংগ্রহ করা। যদিও মিনা থেকে নেওয়া ও জায়েয আছে।

    ৫- মুযদালিফায় রাতে থাকবেন, সেখানে সময় হওয়ার পরপরই ফজরের নামায পড়ে মাশ‘আরুল হারাম (এটি মুযদালিফার পাহাড়), সম্ভব হলে সেখানে যাবেন, না হয় আপনার জায়গায় বসে কিবলামুখী হয়ে ফর্সা হওয়া পর্যন্ত বেশী বেশী দু‘আ ও যিকর করবেন। আর অসুস্থ, দূর্বল পুরুষ ও নারী এবং শিশুদের জন্য মধ্যরাতের পর (চাঁদ ডুবে যাওয়ার পর) মুযদালিফাহ ছেড়ে যাওয়া জায়েয আছে।

    ১- ৯ই জিলহাজ সুর্যোদয়ের পর ‘আরাফাতে যাবেন। আরাফাতে গিয়ে যোহরের সময়ে, যোহর ও আছর ২টি নামাযই যোহরের ওয়াক্তে এক আযান ও ২ ইকামত দিয়ে ২ রাকাআত করে (কসর হিসেবে) আদায় করে নিবেন, আর যোহর পড়ার পর পরই আসর আদায় করে নিবেন, (এভাবে নামায আদায় করাকে ‘জমা‘ করা’ বলে), ইমামের সাথে জামা‘আতে না পড়তে পারলেও উপরোক্ত পদ্ধতি ও নিয়মে নামায ২টি পড়বেন। সুন্নাত পড়বেন না। (রাসুল এভাবে পড়েছেন, তাই আপনিও পড়ুন, কারো কথায় বিভ্রান্ত হবেন না, কারণ আপনি হজের সফরে আছেন)। আরাফাহর দিনে আরাফাতে হাজীদের জন্য সুন্নাত হলো: বেশী বেশী পরিমাণে আল্লাহর যিকর তথা সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ ইত্যাদি পাঠ করবেন এবং কুরআন তেলাওয়াত করবেন। আর এই দো‘আটিও বেশী বেশী পাঠ করবেন:

    لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

    ‘‘লা ইলাহা ইল্লা্ল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীইকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদি-র ”।

    সুন্নাত নিয়ম হলো: কিবলামুখী হয়ে দু হাত উঠিয়ে আল্লাহর নিকট দো‘আ করবেন। যেভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো‘আ করেছেন। জাবালে রহমতকে সামনে রেখে দো‘আ করবেন না। (বি:দ্র: আরাফাহর দিন রোযা রাখবেন যারা হজ করেছেননা তারা, তাই দেশে যারা আছেন, তারা যদি সক্ষম হয় তাদেরকে ঐ দিন রোযা রাখতে বলুন)

    ২- সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মুযদালিফার দিকে রাওয়ানা দিবেন। (সূর্য ডুবার আগে বের হয়ে আর আরাফাতে ফিরে না এলে দম দিতে হবে, তবে ভুল করে বের হলে আবার ফিরে এলে দম লাগবে না)

    ৩- মুযদালিফায় গিয়েই মাগরিব ও ‘এশা ২টি নামাযই ‘এশার ওয়াক্তে এক আযান ও ২ ইকামত দিয়ে প্রথমে মাগরিব ৩ রাকা‘আত এরপর এশা ২ রাকা‘আত (কসর হিসেবে) আদায় করে নিবেন, আর মাগরিব পড়ার সাথে সাথেই ‘এশাও আদায় করে নিবেন, (এভাবে নামায আদায় করাকে ‘জমা‘ করা’ বলে) । সুন্নাত পড়তে হবেনা, তবে বিতর বা উইতরের নামায পড়তে পারেন। মুযদালিফা যেতে আরাফাহ থেকেই আপনার হজ গাইডের সঙ্গ ছাড়বেন না।

    ৪- জামারাতুল ‘আকাবাতে কংকর নিক্ষেপের জন্য বুটের মতো ৭ টি পাথর মুযদালিফা হতে সংগ্রহ করা। যদিও মিনা থেকে নেওয়া ও জায়েয আছে।

    ৫- মুযদালিফায় রাতে থাকবেন, সেখানে সময় হওয়ার পরপরই ফজরের নামায পড়ে মাশ‘আরুল হারাম (এটি মুযদালিফার পাহাড়), সম্ভব হলে সেখানে যাবেন, না হয় আপনার জায়গায় বসে কিবলামুখী হয়ে ফর্সা হওয়া পর্যন্ত বেশী বেশী দু‘আ ও যিকর করবেন। আর অসুস্থ, দূর্বল পুরুষ ও নারী এবং শিশুদের জন্য মধ্যরাতের পর (চাঁদ ডুবে যাওয়ার পর) মুযদালিফাহ ছেড়ে যাওয়া জায়েয আছে।

    ১- ৯ই জিলহাজ সুর্যোদয়ের পর ‘আরাফাতে যাবেন। আরাফাতে গিয়ে যোহরের সময়ে, যোহর ও আছর ২টি নামাযই যোহরের ওয়াক্তে এক আযান ও ২ ইকামত দিয়ে ২ রাকাআত করে (কসর হিসেবে) আদায় করে নিবেন, আর যোহর পড়ার পর পরই আসর আদায় করে নিবেন, (এভাবে নামায আদায় করাকে ‘জমা‘ করা’ বলে), ইমামের সাথে জামা‘আতে না পড়তে পারলেও উপরোক্ত পদ্ধতি ও নিয়মে নামায ২টি পড়বেন। সুন্নাত পড়বেন না। (রাসুল এভাবে পড়েছেন, তাই আপনিও পড়ুন, কারো কথায় বিভ্রান্ত হবেন না, কারণ আপনি হজের সফরে আছেন)। আরাফাহর দিনে আরাফাতে হাজীদের জন্য সুন্নাত হলো: বেশী বেশী পরিমাণে আল্লাহর যিকর তথা সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ ইত্যাদি পাঠ করবেন এবং কুরআন তেলাওয়াত করবেন। আর এই দো‘আটিও বেশী বেশী পাঠ করবেন:

    لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

    ‘‘লা ইলাহা ইল্লা্ল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীইকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদি-র ”।

    সুন্নাত নিয়ম হলো: কিবলামুখী হয়ে দু হাত উঠিয়ে আল্লাহর নিকট দো‘আ করবেন। যেভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দো‘আ করেছেন। জাবালে রহমতকে সামনে রেখে দো‘আ করবেন না। (বি:দ্র: আরাফাহর দিন রোযা রাখবেন যারা হজ করেছেননা তারা, তাই দেশে যারা আছেন, তারা যদি সক্ষম হয় তাদেরকে ঐ দিন রোযা রাখতে বলুন)

    ২- সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মুযদালিফার দিকে রাওয়ানা দিবেন।( সূর্য ডুবার আগে বের হয়ে আর আরাফাতে ফিরে না এলে দম দিতে হবে, তবে ভুল করে বের হলে আবার ফিরে এলে দম লাগবে না)

    ৩- যতই দেরী হউক মুযদালিফায় পৌঁছেই মাগরিব ও ‘এশা ২টি নামাযই ‘এশার ওয়াক্তে এক আযান ও ২ ইকামত দিয়ে প্রথমে মাগরিব ৩ রাকা‘আত এরপর এশা ২ রাকা‘আত (কসর হিসেবে) আদায় করে নিবেন, আর মাগরিব পড়ার সাথে সাথেই ‘এশাও আদায় করে নিবেন, (এভাবে নামায আদায় করাকে ‘জমা‘ করা’ বলে)।তবে, ২ নামাযকে দেরী করে অর্ধরাত্রির পরে আর দেরী করা ঠিক হবেনা। আর সেখানে সুন্নাত-নফল পড়বেন না।

    তবে বিতর বা উইতরের নামায পড়বেন। মুযদালিফা যেতে আরাফাহ থেকেই আপনার হজ গাইডের সঙ্গ ছাড়বেন না।

    ৪- জামারাতুল ‘আকাবাতে কংকর নিক্ষেপের জন্য বুটের মতো ৭ টি পাথর মুযদালিফা হতে সংগ্রহ করা। যদিও মিনা থেকে নেওয়া ও জায়েয আছে।

    ৫- মুযদালিফায় রাতে ঘুমিয়ে থাকবেন, সেখানে সময় হওয়ার সাথে সাথেই সুন্নাতসহ ফজরের সালাত আদায় করে মাশ‘আরুল হারামের নিকটবর্তী হয়ে চর্তুদিক আলোকিত ও ফর্সা হওয়া পর্যন্ত, কিবলামুখী অবস্থায় দাঁড়িয়ে হাত উঠিয়ে আল্লাহর কাছে দো‘আ করতে থাকুন (মাশআরুল হারাম এটি মুযদালিফার পাহাড়), সম্ভব হলে সেখানে যাবেন, না হয় আপনার জায়গায় বসে কিবলামুখী হয়ে ফর্সা হওয়া পর্যন্ত বেশী বেশী দু‘আ ও যিকর করতে থাকুন। (বি:দ্র:- অসুস্থ, দূর্বল পুরুষ ও নারী এবং শিশুদের জন্য মধ্যরাতের পর (চাঁদ ডুবে যাওয়ার পর) মুযদালিফাহ ছেড়ে যাওয়া জায়েয আছে)।

    ৯ ই জিলহাজ ‘আরাফার দিনে যে ‘আমল করবেন

    কিরানকারীর জন্য:

    ১০ই জিলহজ (সম্ভব হলে) সূর্য উঠার আগেই তালবিয়া ও তাকবীর পড়তে পড়তে শান্তভাবে মিনায় যাবেন, বড় জামারায় পৌঁছা মাত্র তালবিয়্যা পাঠ বন্ধ করে দিতে হবে। সূর্য উঠার আগে আপনারা কংকর মারবেন না ।

    ১- প্রতিটি কংকর মারার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ‘জামারাতুল ‘আকাবা’কে (বড় জামারাতকে) ৭টি কংকর মারবেন।

    ২- (কিরানের) ‘হাদী’ যবেহ করবেন।

    ৩- মাথা ন্যড়া করবেন বা সমান করে চুল ছাঁটবেন।

    ৪- ইহরাম খুলে স্বাভাবিক পোষাক পরবেন।

    ৪- তাওয়াফে যিয়ারাত বা ফরয তাওয়াফ (তাওয়াফে ইফাদাহ) করবেন (এটা করার মধ্যদিয়ে আপনি ‘বড় হালাল’ সম্পন্ন করলেন)

    ৫- আপনি আগে সাঈ না করলে এখন করুন।

    তামাত্তু‘কারীর জন্য :

    ১০ই জিলহজ (সম্ভব হলে) সূর্য উঠার আগেই তালবিয়্যা ও তাকবীর পড়তে পড়তে শান্তভাবে মিনায় যাবেন, বড় জামারায় পৌঁছা মাত্র তালবিয়্যা পাঠ বন্ধ করে দিতে হবে। সূর্য উঠার আগে আপনারা কংকর মারবেন না ।

    ১- প্রতিটি কংকর মারার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ‘জামারাতুল ‘আকাবা’কে (বড় জামারাতকে) ৭টি কংকর মারবেন।

    ২- (তামাত্তুর) ‘হাদি’ যবেহ করবেন।

    ৩- মাথা ন্যড়া করবেন বা সমান করে চুল ছাঁটাবেন।

    ৪- ইহরাম খুলে স্বাভাবিক পোষাক পরবেন। এটাকেই হালাল হওয়া বলে। (এই ৩টি কাজকে ছোট হালাল বলে, এবার আপনি স্ত্রী সহবাস ব্যতীত সকল কিছু করতে পারবেন)

    ৫- তাওয়াফে যিয়ারাত বা ফরয তাওয়াফ (তাওয়াফে ইফাদাহ) করবেন (এটা করার মধ্যদিয়ে আপনি ‘বড় হালাল’ সম্পন্ন করলেন)

    ৬- সা‘ঈ করবেন। (তামাত্তুর সা‘ঈ ২টি, আগে একটি করেছেন, আর এটি ২য় সা‘ঈ)

    ইফরাদকারীর জন্য:

    ১০ই জিলহজ (সম্ভব হলে) সূর্য উঠার আগেই তালবিয়্যা ও তাকবীর পড়তে পড়তে শান্তভাবে মিনায় যাবেন, বড় জামারায় পৌঁছা মাত্র তালবিয়্যা পাঠ বন্ধ করে দিতে হবে। সূর্য উঠার আগে আপনারা কংকর মারবেন না।

    ১- প্রতিটি কংকর মারার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ‘জামারাতুল ‘আকাবা’কে (বড় জামারাতকে) ৭টি কংকর মারবেন।

    ২- মাথা ন্যড়া করবেন বা সমান করে চুল ছাটাবেন।

    ৩- ইহরাম হতে হালাল হয়ে স্বাভাবিক পোষাক পরবেন। (এই ৩টি কাজকে ছোট হালাল বলে, এবার আপনি স্ত্রী সহবাস ব্যতীত সকল কিছু করতে পারবেন)

    ৪- তাওয়াফে যিয়ারাত বা ফরয তাওয়াফ (তাওয়াফে ইফাদাহ) করবেন (এটা করার মধ্যদিয়ে আপনি ‘বড় হালাল’ সম্পন্ন করলেন)

    ৫- আপনি আগে সাঈ না করলে এখন করুন।

    ১০ ই জিলহাজ (ঈদের দিনে) যা যা করবেন

    ১- মিনায় রাতে থাকুন, থাকা ওয়াজিব

    ২- সূর্য হেলে যাওয়ার পর সিরিয়াল সহকারে ছোট, মেঝো ও বড় জামারাতের প্রত্যেকটিতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে ৭টি করে কংকর মারবেন। ৩- পাথর মারার পর কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করবেন। বড় জামারাতে কোনো দো‘আ নেই।

    ১- মিনায় রাতে থাকুন, থাকা ওয়াজিব

    ২- সূর্য হেলে যাওয়ার পর সিরিয়াল সহকারে ছোট, মেঝো ও বড় জামারাতের প্রত্যেকটিতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে ৭টি করে কংকর মারবেন। ৩- পাথর মারার পর কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করবেন। বড় জামারাতে কোনো দো‘আ নেই।

    ১- মিনায় রাতে থাকুন, থাকা ওয়াজিব

    ২- সূর্য হেলে যাওয়ার পর সিরিয়াল সহকারে ছোট, মেঝো ও বড় জামারাতের প্রত্যেকটিতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে ৭টি করে কংকর মারবেন।

    ৩- পাথর মারার পর কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করবেন। বড় জামারাতে কোনো দো‘আ নেই।

    ১১ই জিলহজ্জ যা যা করবেন

    ১- মিনায় রাতে থাকুন, থাকা ওয়াজিব।

    ২- সূর্য হেলে যাওয়ার পর সিরিয়াল সহকারে ছোট, মাধ্যম ও বড় জামা‘রাতের প্রত্যেকটিতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে ৭টি করে কংকর মারবেন ৩- ছোট ও মেঝো জামারাতে পাথর মারার পর কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করবেন। বড় জামারাতে কোনো দো‘আ নেই।

    ৪- যদি আপনি ইচ্ছা করেন ১২ তারিখ কংকর মেরে মক্কায় চলে যেতে, এটা আপনার জন্য জায়েয আছে। এমতাবস্থায় আপনি যেন ১২ ই জিলহজ মাগরিবের আগে মিনা ত্যাগ করে মাক্কায় চলে আসেন। এরপর বিদায়ী তাওয়াফ করুন। আর যদি দেরী করেন অর্থাৎ পরের দিনও মিনায় অবস্থান করে পাথর মারতে চান, তাহলে ১৩ তারিখের ‘আমলগুলো ও করবেন।

    ১- মিনায় রাতে থাকুন, থাকা ওয়াজিব।

    ২- সূর্য হেলে যাওয়ার পর সিরিয়াল সহকারে ছোট, মাধ্যম ও বড় জামা‘রাতের প্রত্যেকটিতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে ৭টি করে কংকর মারবেন।

    ৩- ছোট ও মেঝো জামারাতে পাথর মারার পর কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করবেন। বড় জামারাতে কোনো দো‘আ নেই

    ৪- যদি আপনি ইচ্ছা করেন ১২ তারিখ কংকর মেরে মক্কায় চলে যেতে, এটা আপনার জন্য জায়েয আছে। এমতাবস্থায় আপনি যেন ১২ ই জিলহজ মাগরিবের আগে মিনা ত্যাগ করে মাক্কায় চলে আসেন। এরপর বিদায়ী তাওয়াফ করুন। আর যদি দেরী করেন অর্থাৎ পরের দিনও মিনায় অবস্থান পাথর মারতে চান, তাহলে ১৩ তারিখের ‘আমলগুলো ও করবেন।

    ১- মিনায় রাতে থাকুন, থাকা ওয়াজিব।

    ২- সূর্য হেলে যাওয়ার পর সিরিয়াল সহকারে ছোট, মাধ্যম ও বড় জামা‘রাতের প্রত্যেকটিতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে ৭টি করে কংকর মারবেন।

    ৩- ছোট ও মেঝো জামারাতে পাথর মারার পর কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করবেন। বড় জামারাতে কোনো দো‘আ নেই।

    ৪- যদি আপনি ইচ্ছা করেন ১২ তারিখ কংকর মেরে মক্কায় চলে যেতে, এটা আপনার জন্য জায়েয আছে। এমতাবস্থায় আপনি যেন ১২ ই জিলহজ মাগরিবের আগে মিনা ত্যাগ করে মাক্কায় চলে আসেন। এরপর বিদায়ী তাওয়াফ করুন। আর যদি দেরী করেন অর্থাৎ পরের দিনও মিনায় অবস্থান করে পাথর মারতে চান, তাহলে ১৩ তারিখের ‘আমলগুলো ও করবেন।

    ১২ ই জিলহাজ মুনায় আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলোর ২য় দিনে যা যা করবেন

    ১৩/১২

    ১- মিনায় রাতে থাকুন, থাকা ওয়াজিব।

    ২- সূর্য হেলে যাওয়ার পর সিরিয়াল সহকারে ছোট, মাধ্যম ও বড় জামারাতের প্রত্যেকটিতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে ৭টি করে কংকর মারবেন।

    ৩- ছোট ও মধ্যম জামা‘রাতে পাথর মারার পর কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করবেন। তবে, বড় জামারাতে নহে।

    ৪- মিনা ছেড়ে মক্কাতুল মুকাররামায় চলে আসুন এবং বিদায়ী তাওয়াফ করুন। বিদায়ী তাওয়াফ করা ওয়াজিব, না করলে দম দিতে হবে। তবে হায়েয ও নেফাসওয়ালী মহিলাদের জন্য এ তাওয়াফ নেই।

    ১৩/১২

    ১- মুনায় রাতে থাকুন, থাকা ওয়াজিব।

    ২- সূর্য হেলে যাওয়ার পর সিরিয়াল সহকারে ছোট, মাধ্যম ও বড় জামারাতের প্রত্যেকটিতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে ৭টি করে কংকর মারবেন।

    ৩- ছোট ও মধ্যম জামারাতে পাথর মারার পর কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করবেন। তবে, বড় জামারাতে নহে।

    ৪- মিনা ছেড়ে মক্কাতুল মুকাররামায় চলে আসুন এবং বিদায়ী তাওয়াফ করুন। বিদায়ী তাওয়াফ করা ওয়াজিব, না করলে দম দিতে হবে। তবে হায়েয ও নেফাসওয়ালী মহিলাদের জন্য এ তাওয়াফ নেই।

    ১৩/১২

    ১- মিনায় রাতে থাকুন, থাকা ওয়াজিব।

    ২- সূর্য হেলে যাওয়ার পর সিরিয়াল সহকারে ছোট, মাধ্যম ও বড় জামারাতের প্রত্যেকটিতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে ৭টি করে কংকর মারবেন।

    ৩- ছোট ও মধ্যম জামারাতে পাথর মারার পর কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করবেন। তবে,বড় জামারাতে নহে।

    ৪- মিনা ছেড়ে মক্কাতুল মুকাররামায় চলে আসুন এবং বিদায়ী তাওয়াফ করুন। বিদায়ী তাওয়াফ করা ওয়াজিব, না করলে দম দিতে হবে। তবে হায়েয ও নেফাসওয়ালী মহিলাদের জন্য এ তাওয়াফ নেই।

    ১৩ ই জিলহাজ মিনায় আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলোর শেষ দিনে যা যা করবেন

    * তামাত্তু ও কিরানকারী ৪ দিনের ( অর্থাৎ ঈদের দিন ও পরবর্তী ৩ দিনের) যে কোনো দিনে তার হাদি যবেহ করতে পারবেন এবং ফরয তাওয়াফও যদি কোনো সমস্যায়/অসুবিধায় পড়ে ১০ তারিখে করা সম্ভব না হয়, তাহলে পরবর্তী ২/দিনের মধ্যে করে ফেলবেন। {সাধারণত: ১১ই যিলহজ তারিখে তাওয়াফ, সাঈ করলে ভিড় বা কষ্ট কম হবে ইনশা-আল্লাহ}

    তিন : ‘প্রাথমিক হালাল’ হওয়ার আগে ও পরে স্ত্রীসঙ্গম করা সংক্রান্ত জরুরী আহকাম :

    ১০ তারিখে হজের ৩টি কাজ অর্থাৎ, (১) ‘জামারাতুল ‘আকাবাতে ৭টি কংকর মারা (২) যবেহ করা (৩) মাথা মুণ্ডণ করা বা সমান করে চুল চাটা (৪) তাওয়াফে যিয়ারাত বা ফরয তাওয়াফ এবং সা‘ঈ করা। এ ৩টি কাজের মধ্যে ২টি কাজ করে ফেললে আপনার ‘প্রাথমিক হালাল’ সম্পন্ন হলো। এখন আপনি স্ত্রী সহবাস ছাড়া সব কাজ করতে পারেন। (যেমন সাধারণ পোষাক পরিধান, আতর বা খুশবো লাগানো, ইত্যাদি) আপনার বাকী ফরয কাজ অর্থাৎ তাওয়াফ ও সা‘ঈ করার পরে আপনার জন্য স্ত্রী সহবাস, বিবাহ দেওয়া, করানো ইত্যাদি সকল কাজ আপনার জন্য হালাল হলো, ফলে আপনি চুড়ান্ত হালাল হয়ে গেলেন।

    * ‘প্রাথমিক হালাল’ হওয়ার আগে যদি কেউ স্ত্রীসঙ্গম করে ফেলে তাহলে:

    ১- তার হজ বাতিল হয়ে যাবে,

    ২- তবে হজের বাকী কাজগুলো সে আদায় করে নিবে, মক্কা শরীফে কর্মহীন বসে থাকবে না অথবা মক্কা ছেড়ে চলেও যাবে না।

    ৩- আগামী বছর মক্কা শরীফে এসে আবার হজ আদায় করতে হবে,

    ৪ আর হারাম এলাকায় একটি উট যবেহ করবে।

    আর যদি ‘প্রাথমিক হালালে’র পরে স্ত্রী সহবাস করে তবে, তার হজ নষ্ট হবে না। তবে, এমন নিষিদ্ধ কাজ করার শাস্তি হিসেবে হারামের এলাকায় একটি বকরী যবেহ করবে।

    হজের রুকন (ফরয) ৪টি:

    ১- ইহরাম, অর্থাৎ হজের কাজে প্রবেশের নিয়ত করা।

    ২- ‘আরাফায় অবস্থান করা।

    ৩- তাওয়াফে যিয়ারাহ বা ইফাদাহ।

    ৪- সা‘ঈ করা।

    হজের ওয়াজিব সমূহ ৭টি :

    ১- মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা।

    ২- সূর্য ডুবা পর্যন্ত ‘আরাফাতে অবস্থান করা

    ৩- মুযদালিফায় রাত্রিযাপন করা।

    ৪- আইয়ামে তাশরীকের রাতসমূহে মিনায় থাকা।

    ৫- ৩টি জামারাতে কংকর মারা।

    ৬- মাথার চুল মুণ্ডণ করা বা সমান করে চাটানো।

    ৭- বিদায়ী তাওয়াফ করা।

    * জেনে রাখুন:

    * যদি কেউ হজের কোনো একটি রুকন ছেড়ে দেয়, তাহলে ঐ রুকনটি আদায় না করা পর্যন্ত তার হজ পূর্ণ হবে না।

    * আর যদি কোনো ব্যক্তি হজের কোনো একটি ওয়াজিব ছেড়ে দেয়, তাহলে তাকে একটি দম বা বকরী যবাই করতে হবে। না দিলে হজ পূর্ণ হবে না। সে তা থেকে খেতে পারবে না।

    * আর যে ব্যক্তি হজের কোনো সুন্নাত ছেড়ে দিলো, তার হজের কোনো ক্ষতি হবেনা, তাকে কিছু দিতেও হবে না।

    * খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা: জেনে রাখুন

    ** উমরাহ করার পর যদি কোনো হাজী মদীনায় চলে যায়, সে উমরাহ বা হজ যে কোনো একটার নিয়তে ইহরাম বেঁধে মক্কায় প্রবেশ করবে:

    যদিও সে শুধু হজের ইহরাম বেঁধে মক্কা শরীফে প্রবেশ করে, তার হজ তামাত্তুই হবে, ইফরাদ নয়। কারণ, তারা তো পূর্বের উমরাহ শেষে নিজ দেশে ফিরে যায় নি, আর ঐ উমরাহটি তারা হজের মাসেই আদায় করেছেন। হজের মাস হলো ৩টি : শাওয়াল, যিলকদ এবং যিলহজ।

    ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমূহ ১১টি :

    ১- চুল কাটা বা উঠানো। কিন্তু যদি শরীর চুলকানোর সময় ভুলে বা না জেনে কোনো লোম উঠে যায় বা পড়ে যায়, তাতে কিছু দিতে হবে না।

    ২- পুরুষের জন্য সেলাই করা পোষাক পরা। (জামার মতো করে বানানো পোষাক)

    ৩- নখ কাটা

    ৪- (ইহরাম বাঁধার পর) সুগন্ধি ব্যবহার করা।

    ৫- মাথার সাথে লেগে থাকে এমন কিছু দ্বারা পুরুষদের মাথা ঢেকে রাখা।

    ৬- বিবাহ করা বা বিবাহ দেওয়া, এমনকি প্রস্তাব দেওয়াও নিষেধ। চাই নিজের বা অন্যের জন্য হউক। (এই নিষেধাজ্ঞা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য)

    ৭- স্ত্রী সহবাস, যৌনক্রিয়া বা উত্তেজনার সাথে স্ত্রীর দিকে তাকানো, বা স্পর্শ করা, চুম্বন বা আলিঙ্গন করা বা এ জাতীয় কথা বা কাজ করা।

    ৮- মহিলারা হাত মোজা পরবে না। তবে, পা মোজার ব্যাপারে হাদীসে নিষেধ করা হয় নি।

    ৯- হারামের সীমানার ভিতরে এমনিতেই গজানো কোনো গাছ বা সবুজলতা কাটা নিষেধ (ইহরাম অবস্থায় বা ইহরাম ছাড়া)

    ১০- মহিলারা নিকাব পরবে না

    ১১- কোনো স্থলভাগের প্রাণী মেরে ফেলা বা শিকার করা বা এতে সহযোগিতা করা যাবে না।

    ইহরাম অবস্থায় যে সব কাজ করতে পারবে:

    গোসল করা, পরনের ইহরাম বদলিয়ে আরেক জোড়া পরতে পারবে, পানির মাছ ধরা, শিকার ব্যতীত অন্য পশু-পাখী (যেমন গরু, ছাগল, মোরগ, ইত্যাদি) যবেহ করা জায়েয আছে। তবে, মানুষের জন্য ক্ষতিকর প্রাণী যেমন: মশা, মাছি, চিল-কাক, সাপ, ইদুর, সাপ, বিচ্ছু, পিপড়া, তেলাপোকা, কুকুর, ইত্যাদি মারতে পারবে। শরীক চুলকানো যাবে। বেল্ট, আংটি, ঘড়ি, চশমা ব্যবহার করতে পারবে। ছাতা, তাঁবু, অনুরূপভাবে গাড়ীর ছায়ায় বসতে পারবে। আক্রমনকারীকে দমন করা যাবে।

    ** যদি ভুলে বা না জেনে (মূর্খতাবশতঃ) ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজের কোনো একটি কাজ করে ফেলে তাহলে এর জন্য কোনো দম, ফিদয়া বা কিছুই লাগবে না। মনে হওয়ার সাথে সাথে এ কাজ আর করবে না সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং এজন্য আল্লাহর নিকট ইস্তেগফার করবে (ক্ষমা চাইবে), তবে প্রাথমিক হালালের আগে স্ত্রী সঙ্গম করলে তার হজ বাতিল হয়ে যাবে।

    আর যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা বাধ্য হয়ে বা ওযরবশত: উপরে বর্ণিত নিষিদ্ধ কাজ করে তাকে অবশ্যই ফিদইয়া দিতে হবে। ফিদইয়া হলো নিচে বর্ণিত ৩ টির মধ্যে একটি কাজ করা:

    ক) হারাম এলাকায় একটি ছাগল যবেহ করে এর গোস্ত ফকীর-মিসকিনদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া।

    অথবা

    খ) ৬ জন মিসকীনকে খাবার দিতে হবে, প্রত্যেক মিসকিনকে আধা চা‘ (অর্থাৎ ১ কেজি ২০ গ্রাম) পরিমাণ একবেলা খানা খাওয়াতে হবে।

    অথবা

    গ) ৩ দিন রোযা রাখতে হবে।